মহাভারতের কাহিনি – পর্ব-৭
মহারাজ পরীক্ষিতের সর্পদংশনে মৃত্যু ও মহারাজ জনমেজয়ের সর্পযজ্ঞ
প্রাককথন
কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাস মহাভারত নামক মহাগ্রন্থ রচনা করেছিলেন। তিনি এই গ্রন্থে কুরুবংশের বিস্তার, গান্ধারীর ধর্মশীলতা, বিদুরের প্রজ্ঞা, কুন্তীর ধৈর্য, বাসুদেবের মাহাত্ম্য, পাণ্ডবগণের সত্যপরায়ণতা এবং ধৃতরাষ্ট্রপুত্রগণের দুর্বৃত্ততা বিবৃত করেছেন। নানা কাহিনি সংবলিত এই মহাভারতে সর্বমোট ষাট লক্ষ শ্লোক আছে। কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাস পূর্বে নিজের পুত্র শুকদেবকে এই গ্রন্থ পড়িয়ে তার পর অন্যান্য শিষ্যদের শিখিয়েছিলেন। তিনি ষাট লক্ষ শ্লোকে আর একটি মহাভারতসংহিতা রচনা করেছিলেন, তার ত্রিশ লক্ষ শ্লোক দেবলোকে, পনের লক্ষ পিতৃলোকে, চোদ্দ লক্ষ গন্ধর্বলোকে এবং এক লক্ষ মনুষ্যলোকে প্রচলিত আছে। কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাসের শিষ্য বৈশম্পায়ন শেষোক্ত এক লক্ষ শ্লোক পাঠ করেছিলেন। অর্জুনের প্রপৌত্র রাজা জনমেজয় এবং ব্রাহ্মণগণের বহু অনুরোধের পর কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাস তাঁর শিষ্য বৈশম্পায়নকে মহাভারত শোনাবার জন্য আজ্ঞা দিয়েছিলেন।
সেইসব মানুষের সংখ্যা অত্যন্ত নগণ্য, যাঁরা বিশালাকার মহাগ্রন্থ মহাভারত সম্পূর্ণ পাঠ করেছেন। অধিকাংশ মানুষই মহাভারতের কিছু কিছু গল্প পড়েছেন, শুনেছেন বা দূরদর্শনে সম্প্রসারিত ধারাবাহিক চলচ্চিত্রায়ণ দেখেছেন, যা মহাভারতের খণ্ডাংশ মাত্র এবং মূলত কৌরব ও পাণ্ডবদের বিষয়ীভূত ও শ্রীকৃষ্ণের ভূমিকাকে কেন্দ্র করে নির্মিত।
মহাগ্রন্থ মহাভারত রচিত হয়েছে অসংখ্য কাহিনির সমাহারে, যে কাহিনিসমূহের অধিকাংশই কৌরব ও পাণ্ডবদের কাহিনির সঙ্গে বিশেষভাবে সম্পর্কিত।
সেই সমস্ত কাহিনিসমূহের কিছু কিছু কাহিনি সহজবোধ্য ভাষায় সুহৃদ পাঠক-পাঠিকাদের কাছে ধরাবাহিকভাবে উপস্থাপনা করার জন্য আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস আশা করি ভালো লাগবে।
অশোক ঘোষ
মহারাজ পরীক্ষিতের সর্পদংশনে মৃত্যু ও মহারাজ জনমেজয়ের সর্পযজ্ঞ
বৈশম্পায়ন দ্বারা বিবৃত মহাভারতের কাহিনি অনুসারে জনমেজয় কাছে তার পিতার মৃত্যুর বৃত্তান্ত মন্ত্রীদের কাছে জানতে চাইলে মন্ত্রীরা তাকে কি বলেছিলেন অভিমন্যু-উত্তরার পুত্র মহারাজ পরীক্ষিৎ কৃপাচার্যের শিষ্য এবং শ্রীকৃষ্ণের প্রিয় ছিলেন। ষাট বৎসর বয়স পর্যন্ত রাজত্ব করার পর সর্পদংশনে তার প্রাণনাশ হয়। একদিন পরীক্ষিৎ মৃগয়া করতে গিয়ে একটি হরিণকে তীরবিদ্ধ করে বেশ কিছু সময় তার অনুসরণ করলেন এবং তার ফলে পরিশ্রান্ত ও ক্ষুধার্ত হয়ে গভীর বনে শমীক নামক এক মুনিকে দেখতে পেলেন। রাজা হরিণ সম্বন্ধে প্রশ্ন করলে মুনি উত্তর দিলেন না, কারণ তিনি তখন মৌনী ছিলেন। পরীক্ষিৎ ক্রুদ্ধ হয়ে একটা মৃত সাপ ধনুর অগ্রভাগ দিয়ে তুলে মুনির কাঁধে পরিয়ে দিলেন। মুনি কিছুই বললেন না, ক্রোধও প্রকাশ করলেন না। রাজা তখন নিজের পুরীতে ফিরে গেলেন।
শমীক মুনির শৃঙ্গী নামে এক তেজস্বী ক্রোধী পুত্র ছিলেন, তিনি তাঁর কৃশ নামক এক বন্ধুর কাছে শুনলেন, রাজা পরীক্ষিৎ তার তপোরত পিতাকে কিভাবে অপমান করেছেন। শৃঙ্গী ভীষণ রেগে গিয়ে অভিশাপ দিলেন, যে আমার নিরপরাধ পিতার কাঁধে মৃত সাপ পরিয়ে দিয়েছে সেই পাপীকে সাত রাত্রির মধ্যে মহাবিষধর তক্ষক নাগ দংশন করবে। শৃঙ্গী তার পিতার কাছে গিয়ে অভিশাপের কথা জানালেন। শমীক বললেন, বৎস, আমরা পরীক্ষিতের রাজ্যে বাস করি, তিনি আমাদের রক্ষক, তার অনিষ্ট আমি চাই না। তিনি ক্ষুধিত ও শ্রান্ত হয়ে এসেছিলেন, আমার মৌনব্রত না জেনেই এই কাজ করেছেন, সেই জন্য তাকে অভিশাপ দেওয়া উচিত হয়নি। শৃঙ্গী বললেন, পিতা, আমি যদি অন্যায়ও করে থাকি তথাপি আমার শাপ মিথ্যা হবে না।
গৌরমুখ নামে এক শিষ্যকে শমীক পরীক্ষিতের কাছে পাঠিয়ে দিলেন। গুরুর উপদেশ অনুসারে গৌরমুখ বললেন, মহারাজ, মৌনব্রতী শমীকের কাঁধে আপনি মৃত সাপ রেখেছিলেন, তিনি সেই অপরাধ ক্ষমা করেছেন। কিন্তু তার পুত্র ক্ষমা করেননি, তার অভিশাপে সাত রাত্রির মধ্যে তক্ষক আপনার প্রাণহরণ করবে। শমীক বার বার বলে দিয়েছেন আপনি যেন আত্মরক্ষায় যত্নবান হন।
পরীক্ষিৎ অত্যন্ত দুঃখিত হয়ে মন্ত্রীদের সঙ্গে মন্ত্রণা করলেন। তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে তিনি একটিমাত্র স্তম্ভের উপর সুরক্ষিত প্রাসাদ নির্মাণ করালেন এবং বিষনাশক চিকিৎসক ও মন্ত্রসিদ্ধ ব্রাহ্মণগণকে নিযুক্ত করলেন। তিনি সেখানে থেকেই মন্ত্রীদের সাহায্যে রাজকার্য করতে লাগলেন, অন্য কেউ তার কাছে আসতে পারত না। সপ্তম দিনে কাশ্যপ নামে এক ব্রাহ্মণ বিষনাশক চিকিৎসার জন্য রাজার কাছে যাচ্ছিলেন। বৃদ্ধ ব্রাহ্মণের বেশে তক্ষক তাকে বললেন, আপনি এত দ্রুত কোথায় যাচ্ছেন? কাশ্যপ বললেন, আজ তক্ষক নাগ পরীক্ষিৎকে দংশন করবে, আমি গুরুর কৃপায় বিষ নষ্ট করতে পারি, রাজাকে সদ্য সদ্য নিরাময় করব। তক্ষক বললে, আমিই তক্ষক, এই বটগাছে দংশন করছি, আপনার মন্ত্রবল দেখান।
তক্ষকের দংশনে বটগাছ জ্বলে ছাই গেল। কাশ্যপের মন্ত্রশক্তিতে ভস্মরাশি থেকে প্রথমে অঙ্কুর, তারপর দুটি পল্লব, তারপর বহু পত্র ও শাখাপ্রশাখা উৎপন্ন হোয়ে বটগাছে পরিণত হোলো। তক্ষক বললে, তপোধন, আপনি কিসের আশায় রাজার কাছে যাচ্ছেন ? ব্রাহ্মণের অভিশাপে তার মৃত্যু আসন্ন, আপনি তার চিকিৎসায় কৃতকার্য হবেন কিনা সন্দেহ। রাজার কাছে আপনি যত ধন আশা করেন তার চেয়ে বেশী ধন আমি আপনাকে দেবো, আপনি ফিরে যান। কাশ্যপ ধ্যান করে জানলেন যে পরীক্ষিতের আয়ু শেষ হয়েছে, তিনি তক্ষকের কাছে অভীষ্ট ধন নিয়ে চ’লে গেলেন।
তক্ষকের উপদেশে কয়েকজন নাগ তপস্বী সেজে ফল কুশ আর জল নিয়ে পরীক্ষিতের কাছে গেল। রাজা সেই সকল উপহার নিয়ে তাদের বিদায় দিলেন এবং অমাত্য ও সুহৃগণের সঙ্গে ফল খাবার উপক্রম করলেন। ফলগুলির মধ্যে একটি ফলে একটি ছোট কালো চোখবিশিষ্ট তাম্রবর্ণ কীট দেখে রাজা তা হাতে ধরে সচিবদের বললেন, সূর্য অস্ত যাচ্ছেন, আমার দুঃখ বা ভয় নেই, শৃঙ্গীর বাক্য সত্য হ’ক, এই কীট তক্ষক হয়ে আমাকে দংশন করুক। এই বলে তিনি নিজের কণ্ঠদেশে এই কীট রেখে হাসতে লাগলেন। তখন কীটরূপী তক্ষক নিজ মূর্তি ধরে রাজাকে বেষ্টন কোরে সগর্জনে তাকে দংশন করলেন। তা দেখে মন্ত্রীরা ভয়ে পালিয়ে গেলেন। তার পর তারা দেখলেন, পদ্মবর্ণ তক্ষক আকাশে যেন সীমান্তরেখা বিস্তার করে চলেছে। বিষের আগুনে রাজার প্রাসাদ আলোকিত হোয়ে উঠলো। তিনি বজ্রাহতের ন্যায় প্রাণত্যাগ কোরে পড়ে গেলেন।
পরীক্ষিতের মৃত্যুর পর রাজপুরোহিত এবং মন্ত্রীরা পারলৌকিক ক্রিয়া সম্পন্ন করে তার শিশুপুত্র জনমেজয়কে রাজা করলেন।
মন্ত্রীদের কাছে পিতার মৃত্যুর বিবরণ শুনে জনমেজয় অত্যন্ত দুঃখে কাঁদতে লাগলেন, তার পর জলস্পর্শ করে বললেন, যে দুরাত্মা তক্ষক আমার পিতার প্রাণহিংসা করেছে তার উপর আমি প্রতিশোধ নেব। তিনি পুরোহিতদের প্রশ্ন করলেন, আপনারা এমন ক্রিয়া জানেন কি যাতে তক্ষককে সবান্ধবে প্রদীপ্ত অগ্নিতে নিক্ষেপ করা যায়? পুরোহিতরা বললেন, মহারাজ, সৰ্পসত্র নামে এক মহাযজ্ঞ আছে, আমরা তার পদ্ধতি জানি। রাজার আজ্ঞায় যজ্ঞের আয়োজন হতে লাগল। যজ্ঞস্থান মাপবার সময় একজন পুরাণকথক সূত বললে, কোনও ব্রাহ্মণ এই যজ্ঞের ব্যাঘাত করবেন। জনমেজয় দ্বারপালকে বললেন, আমার অজ্ঞাতসারে কেউ যেন এখানে না আসে। তারপর যথাবিধি সর্পসত্র আরম্ভ হল। কৃষ্ণবসনধারী যাজকগণ যজ্ঞের ধোঁয়ায় রক্তলোচন হয়ে সমস্ত সাপকে আহ্বান করে অগ্নিতে আহুতি দিতে লাগলেন। নানাজাতীয় অসংখ্য সাপ আগুনে পুড়ে মারা যেতে থাকলো।
তক্ষক নাগ আতঙ্কিত হোয়ে আশ্রয়ের জন্য ইন্দ্রের কাছে গেল। ইন্দ্র বললেন, তোমার ভয় নেই, এখানেই থাক। স্বজনবর্গের মৃত্যুতে কাতর হয়ে বাসুকি তার বোনকে বললেন, কল্যাণী, তুমি তোমার পুত্রকে বলো সে যেন আমাদের সকলকে রক্ষা করে। তখন জরৎকারু (মনসা) তাঁর পুত্র আস্তীককে পূর্ব ইতিহাস জানিয়ে বললেন, হে অমরতুল্য পুত্র, তুমি আমার ভাই ও আত্মীয়বর্গকে যজ্ঞাগ্নি থেকে রক্ষা কর। আস্তীক বললেন, তাই হবে, আমি নাগরাজ বাসুকিকে তাঁর মাতৃদত্ত শাপ থেকে রক্ষা করব।
আস্তীক যজ্ঞস্থানে গেলেন, কিন্তু দ্বারপাল তাকে প্রবেশ করতে দিলে না। তখন তিনি স্তুতি করতে লাগলেন—পরীক্ষিৎপুত্র জনমেজয়, তুমি ভরতবংশের প্রধান, তোমার এই যজ্ঞ প্রয়াগে অনুষ্ঠিত চন্দ্র, বরুণ ও প্রজাপতির যজ্ঞের তুল্য; আমাদের প্রিয়জনের যেন মঙ্গল হয়। ইন্দ্রের শত যজ্ঞ, যম রন্তিদেব কুবের ও রামচন্দ্রের যজ্ঞ, এবং যুধিষ্ঠির কৃষ্ণদ্বৈপায়ন প্রভৃতির যজ্ঞ যেরূপ, তোমার এই যজ্ঞও সেইরূপ; আমাদের প্রিয়জনের যেন মঙ্গল হয়। তোমার তুল্য প্রজাপালক রাজা জীবলোকে নেই, তুমি বরুণ ও ধর্মরাজের তুল্য। তুমি যমের ন্যায় ধর্মজ্ঞ, কৃষ্ণের ন্যায় সর্বগুণসম্পন্ন।
আস্তীকের স্তুতি শুনে জনমেজয় বললেন, ইনি অল্পবয়স্ক হলেও বৃদ্ধের ন্যায় কথা বলছেন, এঁকে বর দিতে চাই। রাজার সদস্যগণ বললেন, এই ব্রাহ্মণ সম্মান ও বরলাভের যোগ্য, কিন্তু যাতে তক্ষক শীঘ্র আসে আগে সেই চেষ্টা করুন। আগন্তুক ব্রাহ্মণকে রাজা বর দিতে চান দেখে সপর্সত্রের হোতা চণ্ডভার্গবও প্রীত হলেন না। তিনি বললেন, এই যজ্ঞে এখনও তক্ষক আসে নি। ঋত্বিকগণ বললেন, আমরা বুঝতে পারছি তক্ষক ভয় পেয়ে ইন্দ্রের কাছে আশ্রয় নিয়েছে। তখন রাজার অনুরোধে যাজকগণ ইন্দ্রকে আহ্বান করলেন। ইন্দ্র বিমানে চড়ে যজ্ঞস্থানে যাত্রা করলেন, তক্ষক তার উত্তরীয়ে লুকিয়ে রইল। জনমেজয় ক্রুদ্ধ হয়ে বললেন, তক্ষক যদি ইন্দ্রের কাছে থাকে তবে ইন্দ্রের সঙ্গেই তাকে অগ্নিতে নিক্ষেপ করুন।
ইন্দ্র যজ্ঞস্থানের নিকটে এসে ভয় পেলেন এবং তক্ষককে ত্যাগ করে পালিয়ে গেলেন। তক্ষক মন্ত্রপ্রভাবে মোহগ্রস্ত হয়ে আকাশপথে যজ্ঞাগ্নির অভিমুখে আসতে লাগল। ঋত্বিকগণ বললেন, মহারাজ, ওই তক্ষক ঘুরতে ঘুরতে আসছে, তার মহাগর্জন শোনা যাচ্ছে। আপনার কার্যসিদ্ধি হয়েছে, এখন ওই ব্রাহ্মণকে বর দিতে পারেন। রাজা আস্তীককে বললেন, বালক, তুমি সুপণ্ডিত, তোমার অভিপ্রেত বর। চাও। আস্তীক তক্ষকের উদ্দেশে বললেন, তিষ্ঠ তিষ্ঠ তিষ্ঠ; তক্ষক আকাশে স্থির হয়ে রইল। তখন আস্তীক রাজাকে বললেন, জনমেজয়, এই যজ্ঞ এখনই বন্ধ করুন, অগ্নিতে আর যেন সাপ না পড়ে। জনমেজয় অপ্রীত হয়ে বললেন, ব্রাহ্মণ, সুবর্ণ রজত ধেনু যা চাও দেব, কিন্তু আমার যজ্ঞ যেন বন্ধ না হয়। রাজা এইরূপে বার বার অনুরোধ করলেও আস্তীক বললেন, আমি আর কিছুই চাই না, আপনার যজ্ঞ বন্ধ হোক, আমার মাতৃকুলের মঙ্গল হোক। তখন সদস্যগণ সকলে রাজাকে বললেন, এই ব্রাহ্মণকে বর দিন।
আস্তীক তার অভীষ্ট বর পেলেন, যজ্ঞ সমাপ্ত হল রাজাও প্রীতিলাভ করে ব্রাহ্মণগণকে বহু অর্থ দান করলেন। তিনি আস্তীককে বললেন, তুমি আমার অশ্বমেধ যজ্ঞে সদস্যরূপে আবার এসো। আস্তীক সম্মত হয়ে মাতুলালয়ে ফিরে গেলেন।
সাপগণ আনন্দিত হয়ে বর দিতে চাইলে আস্তীক বললেন, প্রসন্ন-চিত্ত ব্রাহ্মণ বা অন্য ব্যক্তি যদি রাত্রিতে বা দিবসে এই ধর্মাখ্যান পাঠ করে তবে তোমাদের কাছ থেকে তার যেন কোনও বিপদ না হয়। সাপগণ প্রীত হয়ে বললে, ভাগ্নে, আমরা তোমার কামনা পূর্ণ করব।
______________
(ক্রমশ)