History of Bakrakhani in Bengali Cooking Recipe by Rashed66 Khan66 books and stories PDF | বাকরখানির ইতিহাস

Featured Books
Categories
Share

বাকরখানির ইতিহাস

বাকরখানির ইতিহাস: এক করুণ প্রেমের গল্প

পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী খাবার বাকরখানির নামের পেছনে আছে এক করুণ প্রেমের গল্প। জনশ্রুতি অনুযায়ী, জমিদার আগা বাকেরের নামানুসারে এই রুটির নামকরণ করা হয়েছে।

গল্পটি এই রকম:

 * আগা বাকের ও খনি বেগমের প্রেম: নবাব মুর্শিদ কুলি খাঁর দত্তক ছেলে আগা বাকের আরামবাগের নর্তকী খনি বেগমের প্রেমে পড়েন।

 * জয়নাল খানের ষড়যন্ত্র: উজির পুত্র নগর কোতোয়াল জয়নাল খান খনি বেগমকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হলে আগা বাকেরকে হত্যার চেষ্টা করে।

 * বিচ্ছেদ ও মৃত্যু: বিভিন্ন ঘটনাক্রমে আগা বাকের ও খনি বেগম বিচ্ছেদ হন। শেষ পর্যন্ত খনি বেগম মারা যান।

 * বাকরখানির জন্ম: আগা বাকের খনি বেগমের স্মৃতি চিরদিন ধরে রাখতে তার প্রিয় খাবারের নামে এই রুটির নামকরণ করেন।

অন্য একটি মত:

 * মির্জা আগা বাকের: আরেকটি মতে, বৃহত্তর বরিশালের জায়গীরদার মির্জা আগা বাকের ঢাকায় বাকরখানি রুটি প্রচলন করেন। তার প্রেয়সী ছিল আরামবাগের নর্তকী খনি বেগম। তাদের প্রেমকাহিনীর উপর ভিত্তি করেই এই রুটির নামকরণ করা হয়।

বাকরখানির জনপ্রিয়তা:

 * ঐতিহ্যবাহী খাবার: পুরান ঢাকার মানুষের সকালের নাস্তায় বাকরখানি অন্যতম।

 * বিভিন্ন প্রকার: নোনতা, মিষ্টি, পনির, কালোজিরা ইত্যাদি স্বাদের বাকরখানি পাওয়া যায়।

সারসংক্ষেপ:

বাকরখানির নামের পেছনে রয়েছে এক করুণ প্রেমের গল্প। এই গল্পটি আমাদের ঐতিহ্যবাহী খাবারের সাথে জড়িয়ে রয়েছে।

আরও জানতে চাইলে:

 * ইতিহাস: বিভিন্ন সূত্র থেকে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যেতে পারে।

 * প্রস্তুত প্রণালী: বাকরখানি কীভাবে তৈরি হয় তা জানতে রান্নার বই বা অনলাইনে খুঁজতে পারেন।

কীভাবে এই তথ্য উপযোগী হতে পারে:

 * জ্ঞান বৃদ্ধি: বাকরখানির ইতিহাস জানার মাধ্যমে আপনি বাংলাদেশের খাদ্য সংস্কৃতি সম্পর্কে আরও জানতে পারবেন।

 * আলোচনার বিষয়: বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের সাথে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারেন।

 * খাবারের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি: বাকরখানির ইতিহাস জানার পর হয়তো আপনি এই খাবারটির প্রতি আরও আগ্রহী হয়ে উঠবেন।

বাকর খানি কেন খাবেন? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে শুধু ইতিহাসের দিকেই নয়, এর স্বাদ এবং পুষ্টিগুণের দিকেও তাকাতে হবে।

ইতিহাসের ছোঁয়া:

 * ঐতিহ্যবাহী স্বাদ: পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী খাবার হিসেবে বাকর খানি অনেকের কাছেই নস্টালজিয়ার বস্তু। এক কামড়ে আপনি পুরান ঢাকার ঐতিহ্যের স্পর্শ পাবেন।

 * প্রেমের গল্প: বাকর খানির নামের পেছনে রয়েছে এক করুণ প্রেমের গল্প। এই গল্প জানার পর খাবারটি খাওয়ার অনুভূতি আরও ভিন্ন হবে।

স্বাদের জাদু:

 * বিভিন্ন স্বাদ: নোনতা, মিষ্টি, পনির, কালোজিরা ইত্যাদি বিভিন্ন স্বাদের বাকর খানি পাওয়া যায়। আপনার পছন্দ অনুযায়ী স্বাদ বেছে নিতে পারবেন।

 * মুখে দেওয়ার সাথে সাথে গলে যাওয়া: মৃদু, নরম এবং মুখে দেওয়ার সাথে সাথে গলে যাওয়া বাকর খানি আপনার মুখে স্বাদের এক অনন্য অভিজ্ঞতা উপহার দেবে।

পুষ্টিগুণ:

 * শক্তিদায়ী: বাকর খানি কার্বোহাইড্রেটের ভালো উৎস, যা শরীরকে শক্তি দেয়।

 * প্রোটিন: কিছু কিছু বাকর খানিতে পনির ব্যবহার করা হয়, যা প্রোটিনের ভালো উৎস।

 * ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ: ব্যবহৃত উপকরণ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ পাওয়া যেতে পারে।

কেন বাকর খানি খাবেন, তার কয়েকটি কারণ:

 * সকালের নাস্তা: চা বা কফির সাথে বাকর খানি সকালের নাস্তার জন্য একদম পারফেক্ট।

 * অতিথি আপ্যায়ন: অতিথিদের আপ্যায়ন করার জন্য বাকর খানি একটি ভালো পছন্দ হতে পারে।

 * স্ন্যাক্স: দুপুরের খাবারের আগে বা পরে হালকা খিদে মেটাতে বাকর খানি খেতে পারেন।

 * ঐতিহ্যকে সম্মান জানাতে: বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার হিসেবে বাকর খানি খেয়ে আপনি এই ঐতিহ্যকে সম্মান জানাতে পারেন।

সর্বশেষ কথা:

বাকর খানি খাওয়া শুধু খাবার খাওয়ার মতো নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা। তাই, একবার চেষ্টা করে দেখুন, হয়তো আপনিও এর মুগ্ধ হয়ে যাবেন।

বাকরখানি তৈরির প্রক্রিয়া: পুরান ঢাকার ঐতিহ্যকে ঘরে আনুন

বাকরখানি, পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী একটি খাবার। এর স্বাদ এবং সুবাস অনেকেরই প্রিয়। ঘরে বসেও আপনি সহজেই এই সুস্বাদু খাবারটি তৈরি করতে পারেন।

প্রয়োজনীয় উপকরণ:

 * ময়দা

 * ডালডা

 * তেল

 * লবণ

 * পানি

 * কর্নফ্লাওয়ার

তৈরির পদ্ধতি:

 * খামির তৈরি: ময়দা, গলানো ডালডা, তেল ও লবণ মিশিয়ে খাস্তা করে নিন। এবার পরিমাণমতো পানি দিয়ে ময়দা ময়ান করে ঢেকে রাখুন ২ ঘণ্টা।

 * ডালডার মিশ্রণ: ডালডা গরম করে গলিয়ে ঠাণ্ডা করুন। ডালডা ও তেল একসঙ্গে মিশিয়ে বিট করে রাখুন।

 * কর্নফ্লাওয়ার মিশ্রণ: ময়দা, কর্নফ্লাওয়ার, তেল সব উপকরণ একসঙ্গে মেখে রাখুন।

 * লেয়ারিং: খামির ৪ ভাগ করে প্রতিটি দিয়ে যতটুকু সম্ভব খুব পাতলা রুটি বেলে নিন। রুটির চারদিকে ১ ইঞ্চি ফাঁকা রেখে ডালডার মিশ্রণের প্রলেপ দিন। এর ওপর কর্নফ্লাওয়ার মিশ্রণ ছিটিয়ে দিন। রুটি দুই ভাঁজ করে আবার ডালডার প্রলেপ দিয়ে ময়দা ছিটিয়ে দিন। এভাবে আবার করুন।

 * আঁচড় দেওয়া: ভাঁজ দেওয়া খামির ঢেকে রেখে দিন কমপক্ষে ১ ঘণ্টা। এরপর ছোট ছোট লেচি কেটে গোল বাকরখানি বানিয়ে ছুরি দিয়ে আঁচড় কেটে দিন।

 * সেঁকানো: তন্দুরীতে সেঁকে নিন বা ইলেকট্রিক ওভেন ১৮০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় প্রি-হিট করে ২০ মিনিট বেক করে নিন।

কয়েকটি টিপস:

 * খামির ভালো করে ফুলে উঠলে বাকরখানি আরো সুন্দর হবে।

 * ডালডার মিশ্রণ বেশি ঘন হলে একটু তেল মিশিয়ে নিতে পারেন।

 * কর্নফ্লাওয়ার মিশ্রণ ছিটিয়ে দিতে হবে হালকা হাতে।

 * বাকরখানি সেঁকানোর সময় মাঝে মাঝে চেক করে নিন যাতে পুড়ে না যায়।

পুরান ঢাকার স্বাদ ঘরেই:

এই পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনি ঘরে বসে সহজেই সুস্বাদু বাকরখানি তৈরি করে নিতে পারবেন। চা বা কফির সাথে এই বাকরখানি খেতে অনেক ভালো লাগবে।

আরও জানতে চাইলে:

ইউটিউবে বাকরখানি তৈরির বিভিন্ন ভিডিও রয়েছে। সেখান থেকেও আপনি আরও বিস্তারিত তথ্য পেতে পারেন।

বিঃদ্র: উপরের রেসিপিটি একটি সাধারণ ধারণা দেওয়ার জন্য। বিভিন্ন রেসিপিতে উপকরণ ও পরিমাণের সামান্য পার্থক্য থাকতে পারে।