In The Dark Of Illusion - 10 in Bengali Horror Stories by Utopian Mirror books and stories PDF | অবচেতনার অন্ধকারে - 10

Featured Books
  • चाळीतले दिवस - भाग 6

    चाळीतले दिवस भाग 6   पुण्यात शिकायला येण्यापूर्वी गावाकडून म...

  • रहस्य - 2

    सकाळ होताच हरी त्याच्या सासू च्या घरी निघून गेला सोनू कडे, न...

  • नियती - भाग 27

    भाग 27️मोहित म्हणाला..."पण मालक....."त्याला बोलण्याच्या अगोद...

  • बॅडकमांड

    बॅड कमाण्ड

    कमांड-डॉसमध्ये काम करताना गोपूची नजर फिरून फिरून...

  • मुक्त व्हायचंय मला - भाग ११

    मुक्त व्हायचंय मला भाग ११वामागील भागावरून पुढे…मालतीचं बोलणं...

Categories
Share

অবচেতনার অন্ধকারে - 10

হয়তো বিনা অনুমতিতে অনাহুত মানুষের অবাঞ্চিত প্রবেশে ক্রূদ্ধ বিরক্ত সে। তাই চিৎকার করে, বুনো শেয়ালের মতো আর্তনাদ করে জানাতে চাইছে তার রাগ।

ক্লারা এবার আচ্ছন্নের মতো এক পা এক পা করে হাটঁছে হেনরির দিকে। তার মানে সম্মোহনের শেষ পর্যায়ে হেনরি এখন তাকে স্পর্শ করবে।

এখন মধ্যে রাতে, একুশ তলার ঘরে, ঝির ঝির তুষারের মধ্যে একটি সক্ষম পুরুষ আর অনাবৃতা রমণী শরীরের কাছাকাছি এগিয়ে আসছে। কি আশ্চর্য্য, তাদের মধ্যে জেগে নেই এক বিন্দু লালসা। তাদের একজন শিকারি কুকুরের মতো অনুসন্ধানী, অন্যজন ভীত হরিণীর মতো চঞ্চলা অথচ স্থির।

আনুবিসের শৃগাল চোখে মৃত্যুর ছায়া কাঁপে। তার পাথুরে শরীরের চারপাশে কেমন যেন অশুভ ইঙ্গিতে নিরুদ্ধ বাতাসে ছড়িয়ে আছে। যেন তার শরীরে পাশবিক এক মনুষত্বের অদৃশ্য সংকেত। যেন পাথরের আড়ালে লুকিয়ে আছে গোপন সংবেদনশীল জীবন। পাথর খোদা মুখে সবজান্তা হাসিটায় মানুষের সততা সম্মন্ধে সন্দেহ, চোখ দুটো যদিও পাথরের, চোখের আড়ালে যেন এক আশ্চর্য এবং আলোড়ন জাগানো চেতনা লুকিয়ে আছে। যেন স্ট্যাচুটা বেঁচে আছে। কিংবা বুঝি স্ট্যাচুর পাথুরে পোশাকের আড়ালে লুকিয়ে আছে জীবন।

ক্লারার হাতে হাত রাখলো হেনরি।

মনে হলো যেন দুটি শতাব্দী এসে করমর্দন করলো।

শৃগালদেবী আনুবিস বুঝি কথা বলতে চায়। পাথরের পাতাল ঘরে হাজার হাজার বছর বন্দিনী থেকে সে আজ চিৎকার করে উঠতে চায় এই পৃথিবীতে।

শুধু কি আনুবিস ?

কেন সেখানে আছে সমস্ত অমঙ্গলের উৎস আমন-রা .....।

আছে বিষাক্ত সাপের শরীর নিয়ে দেবতা শেট .....।

আছে বেড়াল মাথা দেবতা বুব্যাস্টিস।

পিরামিডের সামনে, জমির পাশে, স্প্রিংসের পেছনে ছড়িয়ে আছে তারা ...। সারি সারি ..

সব কিছু ছাপিয়ে এখানে মৃত্যুর হাওয়া। দীর্ঘদিন মৃতরা নিষিদ্ধ সংকেতে অদৃশ্য ইঙ্গিতে রক্তের ভেতর হাতছানি দেয়।

তাই মিশরে জন্ম দিয়েছে কুহকিনী বিদ্যার। এই মুহূর্তে হেনরি সেটা পড়ছে, আপাতত দুর্বোধ্য হলেও তাতে আছে কুহক, যাদু, ডাকিনি বিদ্যা এবং অশুভ আতঙ্কের অস্পষ্ট অশরীরী ইঙ্গিত।

আজ এতদিন বাদে, সেই প্রেত পাণ্ডুলিপির সাহায্যে ক্লারাকে প্রেতায়িত করতে চাইছে হেনরি।

তার অশরীরী সত্তার সঙ্গে প্রতি মুহূর্তে সংঘর্ষ ঘটছে ক্লারাকে শরীরী সত্তার।

কিন্তু হাজার বছরের বিবর্ণ ধূলিমলিন ওই অপার্থিব পাণ্ডুলিপি পড়তে পড়তে আরোপিত বার্ধককে জর্জর হেনরির মনে হলো কে যেন তাকে অজ্ঞাতে অনুসরণ করছে।

কে সে ?

সে কি শৃগাল মুখ দেবী আনুবিস ? যে সারাজীবন ধরে হাহাকারের মধ্যে আগলে রেখেছে পাতালপুরীর প্রবেশ পথ ?

তাই অনধিকার অনুপ্রবেশে বাধা দিতে চায় ?

কিন্তু হেনরি তার সমস্ত জীবন দিয়ে ওই প্রেতাত্মাকে গ্রহণ করতে চেয়েছে। সে ভেবেছে প্রেতিনীবিদ্যায় হবে সকলের সেরা।

তার শীর্ণ হাতে বিবর্ণ প্যাপিরাসের পাতা কাঁপতে থাকে, শোনা যায় ঘনীভূত নিষিদ্ধ ফ্লারাও আখনতমেনের কান্না। বুঝি অভিশপ্ত যৌবনা ক্লিওপেট্রা অপার্থিব শিহরণে হেসে ওঠে।

ঠিক যখন ক্লারার নগ্ন দেহটি সশব্দে আছড়ে পড়লো হেনরির পায়ের সামনে।

হিমেল হাওয়ার মধ্যে বেজে ওঠে হাজার হাজার বছরের পুরোনো বিকৃত কণ্ঠস্বর।

......তোমরা যারা ডাকিনী বিদ্যা নিয়ে অন্নেষণ করতে চাও তাদের উদ্দেশ্যে বলছি ? মনে রেখো, এই বিদ্যার সামান্যতম অবমাননা হলে নিশ্চিত মৃত্যু তোমাকে গ্রাস করবে। জেনো, মহান দেবতা আনুবিস তোমাকে ঢুকতে দেবে না। যদি ঢুকতে দেয় তবু অপবিত্র অবিশ্বাসী অনুপ্রবেশকারী মানুষেরা পৃথিবীতে ফিরে যেতে পারবে না। কারণ আনুবিসের এই মূর্তি রহস্যময় এবং তার অন্তরালে লুকিয়ে আছে এক গোপন রোমাঞ্চিত অস্তিত্ব।

হয়তো কোনো কারণে সামান্য ভুল করেছিল হেনরি। তাই আনুবিসের ক্রোধ এখন তাকে আক্রমণ করেছে।

তার এই ঘরে স্থাপিত সাতজন প্রাচীন প্রাগ-ঐতিহাসিক মিশরীর দেবতার মাথা -----আগিরিস, আইসিমিয়া, বাস্ট, থথ, সেট এবং আনুবিস।

সাতজন দেবতার চোখে ঠিকরে আসে এক ধরণের দুর্বোধ্য ঘৃণা, যা ভাষায় বর্ণনা করা যায় না।

সেই ঘৃণা অদৃশ্য শেকড়ের মত হেনরির সত্তাকে আকর্ষণ করছে, তার মস্তিষ্কের মধ্যে ছড়িয়ে যাচ্ছে অবর্ণনীয় অনুভূতি, যেন সেই শেষের ভয় ছাড়া আর অন্য সব অনুভূতিকে শুষে নিচ্ছে।

বিশেষ এক কোন থেকে দেখলে মূর্তিটা যেন একরাশ জড়াজড়ি করা সাপ, সেডুসার মূর্তির মতো। অথচ দ্বিতীয়বার দেখলে মনে হয় মূর্তিটা যেন একরাশ উজ্জ্বল রক্তচোষা ফুল, সাপের জেলির মতো প্রোটোপ্লাজমে পাপড়িগুলো রক্তের তৃষ্ণায় বড়ো হয়ে ওঠে। তৃতীয়বার ভালো করে দেখলে মনে হবে, না, এসব কিছুই নয়, শুধু অনেকগুলো রুপোর করোটির বিশৃক্ষল সম্মেলনে অবয়বহীন এক প্রতীকী মূর্তি। কিন্তু আবার ভালো করে তাকালে বোঝা যাবে, মূর্তির আড়ালে মহাবিশ্বের এক গোপন প্যাটার্ন ----