Mermaid Lover - 3 in Bengali Love Stories by Queen Of Hell Sania books and stories PDF | Mermaid Lover - 3

Featured Books
Categories
Share

Mermaid Lover - 3

আকর্ষণীয় মহিলাটা এবার মেয়েটার দিকে তাকালেন আর বললেন_"আরে লীলা মায়ের সাথে এরকম কথা বলতে নেই আর তুই তোর ক্যারিয়ারে ফোকাস কর তুই একদিন ভালো রাইটার হবি। মা তো এরকম একটু আদরা বলেই থোরি কি তোর বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে এখন তো তুই মাত্র ২০ বছর বয়সের।"

এটা শুনে অবাক হয়ে লীলার মা তখন আকর্ষণীয় মহিলাটার দিকে তাকালেন আর বললেন"দিদি তুমি এই পাগল মেয়েটার সাথ দিওনা। এ পাগল সবসময় পাগলা পাগলা কাণ্ড করে প্রত্যেকদিন কারুর না কারুর সাথে তো ঝগড়া করবেই আর কারোর কোনো না কোনো ক্ষতি করবে, সবাই আমার বাড়িতে তেরে আসবে আর বেলা বারোটার সময় ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস মেয়েটার"

লীলা ও রাগের সাথে বলল"মা আমি বেলা বারোটার সময় না আমি দশটা কুড়িতে উঠি প্রত্যেকদিন ।আর এটা বেলা বারোটা কোথায় হল?"
এটা শুনে লীলার মা রাগের সাথে হাতে ঝাড়ু টা তুলল আর লীলার দিকে ছুড়ে দিলো আর লীলা ওটাকে এক ঝটকায় ক্যাচ করে নিলো।

যেটা দেখে আরও রেগে গেলো লীলার মা। আর আকর্ষণীয় মহিলাটা লীলার মাকে বুঝাতে লাগল আর ঝগড়া থামাতে লাগলো।


আসলে আকর্ষণীয় মহিলাটা আর কেউ না আয়ুশের মা ছিলো। যিনি রাগ করে এখানে চলে এসেছেন। আয়ুস এর মায়ের পরিবার লীলার পরিবারের পাশের বাড়ি ছিলেন।

আয়ুস এর মা ভালোভাবে লীলার মাকে বুঝালো আর শান্ত করালো।

এদিকে লীলা ভালোভাবে ব্রাশ করে স্নান করে । খাওয়ার জন্য চলে এলো।

ছোট কাঠের রান্না ঘরে ওর মা আলুর পরোটা ভাজছে যেটা দেখে লীলা খুবই খুশির সাথে বলল"ওয়াও কত সুন্দর টেস্টি ও অন্ধ আসছে ইচ্ছা করছে গিয়ে সবই খেনিই"

এই বলে লীলা একটা পরোটা তুলে খেতে লাগলো সাথে সাথে চিৎকার করে উঠল কারণ পরোটা গরম থাকার কারণে ওর জিভ পুড়ে গেছে যেটা দেখে আবারও রাগের সাথে লীলার মা বললেন"জানতাম তো আবার কান্ড ঘটবি জ্বালিয়ে দিলি নিজের জিভ একটু অপেক্ষা করা যায় না? ঠান্ডা হওয়ার গরম রুটি তুলে মুখে ভরে নিল পাগল মেয়ে একটা।"

কিন্তু এটা শুনে লীলা হেসে বলল"ছাড়ো তো খাওয়া নিয়ে দরকার পড়লো কি না পড়লো তাতে কি"

এই বলে লীলা আবারও খেতে শুরু করল যেটা দেখে ওর মা নিজের মাথায় হাত পিটে নিলো আর বলল"এই মেয়েটাকে নিয়ে আর পারা যায় না"

এটা শুধু পাশে বসে থাকা আয়ুস এর মা হেসে বলল"বাচ্চারা তো এরকমই হয়, পাগল একটা আমার ছেলের কথা অবশ্য মনে পড়ছে। ও একটা পাগল খালি উল্টোপাল্টা কান্ড ঘটাতেই থাকে! তবে নিজের সৌন্দর্যের খেয়াল রাখে বছর আমার ছেলেটা মেয়েদের মতন"

এই বলে আয়ুস এর মা হাসতে লাগলেন আর হাঁসের মায়ের কথা শুনে লীলার মাও হাসতে লাগলো।

লীলাও খেতে খেতে এই কথাগুলি শুনছে লীলাও এবার বাঁকা হেসে বলল"ঢং ছেলে হয়ে মেকাপ করবে আমিও নিজের স্কিন কেয়ার করি না"

এটা শুনে আয়ুস এর মা আরো হেসে বললেন"আরে আরে তুই ওর কান্ড গুলি দেখলে হেসে হেসে পাগল হয়ে যাবি। ও প্রচুর কিউট আর নিষ্পাপ নিজে সৌন্দর্যের প্রতি অনেক স্মৃতি ওর সবসময়ই নিজের সৌন্দর্য খেয়াল রাখে"

এটা শুনে লীলা মুখ বানিয়ে বলল"ছেলেরা আবার এইরকম হয় নাকি পাগল একটা আর বড়লোকদের বড় বড় ব্যাপার"

এটা শুনে আয়ুস এর মাও হেসে বললেন"হ্যাঁরে ঠিক বলেছিস তা না হলে এরকম ভাবে তুলে নিয়ে যায় আমাকে"

এই কথাটা অনেক পুরাতন কথা ছিলো কিন্তু এখনো সবাইয়ের হাসি পায় এই কথাটা শুনে। তখন সিচুয়েশনটা খুবই ডেঞ্জারেস ছিল কিন্তু এখন ভাবলেও হাসি পায় এই কথাটা আয়ুস এর মায়ের।

এদিকে এই কথাটা শুনে লীলা রেগে গিয়ে বললো"আন্টি তুমি কিছু বলনি বলে আঙ্কেলকে আমি হলে না ঝেঁটা পেটা করতাম। কত সাহস তুলে নিয়ে যাবে অত সোজা না"

কথাটা শুনে আয়ুস এর মা ও হেসে বলল"আরে লীলা এত সোজা না ওরা পুরো গ্রামকে শেষ করে দিয়ার ক্ষমতা রাখে তুই ভেবেও পাবি না ওরা কত ডেঞ্জারাস দুনিয়া কাঁপে ওদের নামে আমিতো ফেসে গেছি নরকে! নিজের ভাগ্যের উপর শুধু হাসতেই পারি আর কিছু না। আর আমার ছেলে যদি তোর পিছনে পড়ে মনে হয় দিয়ে গিয়ে তোকে বন্দি করে রেখে দেবে হাতে পায়ে লোহার শিকল বেঁধে হলেও তোকে রেখে দেবে"

এটা শুনে লীলা হেসে বলল"আমি অত কম জোর না! আমি অনেক পাওয়ারফুল আর তোমার মেকআপ আর্টিস্ট ছেলে তোমার এসবকে নিয়ে থাকুক আমার দরকার"


_______*

আয়ুস সবেমাত্র ব্রেকফাস্ট করতে বসেছে আর একটা ওয়াইট মুখে দিয়েছে সাথে সাথেই ওর হাত চুল হল আর ও মনে মনে বলল"মনে হয় মাম্মী আমার নাম নিচ্ছে"


এই বলে আয়ুস পকেট থেকে ফোন বার করলো সাথে সাথে ওর আর ওর মায়ের ছবি প্লাস হতে লাগলো।


ও ওর মায়ের ছবিকে স্পর্শ করে বললো"মা আমি তাড়াতাড়ি আসছি এখানে কাজটা সেরে ফেলি তারপর ওখানে যাচ্ছি"


এই বলে আবারো আয়ুস পকেটে ফোনটা ভরে নিলো। তারপর ব্রেকফাস্ট করতে লাগলো।

কিন্তু ওর সামনে এখন দুটো ডেড বডি পড়েছিল আর ওর হোয়াইট শার্টেতে ও রক্ত লেগেছিল ওর গালেতেও রক্ত ছিটা লেগেছিলো। যেগুলি দেখে ওর বিন্দুমাত্র যায় আসে না।

ও নির্দয় রাজার মতন নিজের সিংহাসনে বসে আছে আর ব্রেকফাস্ট ইনজয় করছে আর ওর সামনে শুধু ওই লাশ পড়েছিল না দুটো লোককে উল্টো ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল আর ওদেরকে মারা হচ্ছিল ওর সামনে। আর ও ওই গুলিকে দেখছিলো।

তখনই ওর ফোনটা বেজে উঠলো, ওকে ওর মা ফোন করেছে সাথে সাথে ও খুশি হয়ে গেল আর ফোন রিসিভ করল। ওপাশ থেকে ওর মা বলল"বাচ্চা খাবার খেয়েছিস তো?"

আয়ুস বিনা এক্সপ্রেশানে বলল"হ্যাঁ খাচ্ছি আর তুমি খেয়েছ?"

ওর মা হেসে হ্যাঁ বলল আর কিছুক্ষণ কথা বলে ফোন কেটে দিলো।

এদিকে আয়ুস মোবাইল ফোনে ভালোভাবে কিছু চেক করতে লাগলো। সাথে সাথেই ওর হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ আসলো আর কিছু ছবি এলো, ওইগুলি চেক করল কটা লাশের ছবি ছিল আর লেখা ছিলো।
"বস টেন্ডার এখন তোমার! এদের সবাইকে আমরা ঠিকানাই লাগিয়ে দিয়েছি"


এটা দেখে আয়ুস মুখের মধ্যে খাবার ভরল আর আরো কিছু ফটো দেখতে লাগলো।

তখনই ওর জুড়ে চটকা লাগলো আর ও কাচতে লাগলো।

_______*

অন্যদিকে লীলা আয়ুস এর নামে উল্টোপাল্টা বলেই যাচ্ছে আয়ুস এর ব্যাপারে ওর মায়ের মুখ থেকে শুনে।

ও যত যত আয়েশের ব্যাপারে শুনছে তত তত আয়ুসকে উল্টোপাল্টা বলছে। তবে আয়ুস যদি এখানে থাকতো পাক্কা, পুরো গ্রামকে এর আগে তে উড়িয়ে দিতো।


_____*

এদিকে আয়ুস ব্রেকফাস্ট করে নিজের গাড়ি নিয়ে রওনা দিল কোথাও।

কিছুক্ষণ পর ও একটা ভাগা বিল্ডিং এ চলে এলো। বিল্ডিংয়ে ঢোকার সাথে সাথে ও আশেপাশের দৃশ্য দেখে খুবই খুশি হয়ে বলল"খুবই ভালো কাজ করেছিস জায়গাটা তো পুরো রক্তের নদী হয়ে গেছে, এটা দেখে খুবই ভালো লাগছে আমার"

আর এটা বলেছিল সাথে সাথে পিছন দিকে কেউ এসে ওর ওপর গুলি চালাতে যাবে ।তখনই সাইডে সরে গেলো ও আর ওর একটা বডিগার্ড এসে লোকটার চুল ধরে লোকটার মাথা দেওয়ালে মেরে ফাটিয়ে দিলো। আর ওইখানে লোকটা মরে গেলো।
আয়ুস কখনো কাউকে নিজের হাতে মারেনি। ও ওর বডিগার্ডের হাতেই মানুষকে মার্ডার করিয়েছে। যার জন্য পুরো দুনিয়ার কাছে প্রমাণ থেকেও প্রমাণ নেই ওর বিরুদ্ধে।



(তো কি হতে চলেছে এরপর জানবার? জন্য পরের পর্ব পড়তে হবে)