আয়ুশ এর কথা শুনে ড্যাডি হার মেনে বললেন"ওকে ফাইন তোর যেরকম ইচ্ছা তুই সে রকম ভাবে যেতে পারিস বাট এই দুদিন তুই বাড়িতে থাক! নেক্সট টুমোরো তোকে টেন্ডার টার জন্য যেতে হবে। ওদের কপালে বন্দুক রেখে হলেও টেন্ডার টা তোকে নিতে হবে!"
এই বলে ড্যাডি ওখান থেকে চলে গেলেন। আর আয়ুস আবারো বিছানায় গড়িয়ে পড়ল।
আর তখনই রুমের মধ্যে অনেকগুলি সুন্দর সুন্দর মেয়ে ঢুকলো যাদের দেখে আয়ুস হিংসাতে জ্বলে উঠলো আর দাঁতে দাঁত চেপে নিজেই নিজেকে বলল"আমি তাদেরকে অনেক ঘৃণা করি যারা আমার থেকে সুন্দর !আমার থেকে সুন্দর কেউ নেই এই পৃথিবীতে আর হতেও পারবে না থাকলেও আমি মেরে ফেলবো!"
এই বলে ও রাগের সাথে সামনের আয়নাতে নিজেকে দেখল ওই বিছানাতে শুয়ে শুয়ে।আর সামনেই একটা বড় আয়না লাগানো ছিল যেটাই বিছানা থেকে শুয়ে শুয়ে ও আরামসে নিজেকে দেখতে পারবে ভালোভাবে।
আয়ুস ওবেরয় যার নাম শুনলে পুরো দুনিয়া কাঁপে ওর ভয় ছিল এমন এক পক্ষে ওকে কিং অফ হ্যাল ও বলা যায়। ও কাউকে ভয় পায় না, না তো কাউকে মানে ও সামনে ছেলে হোক বা মেয়ে হোক বুড়ো হোক বা বাচ্চা হোক ওর যদি রাগ ধরে কিংবা কেউ ওর থেকে সুন্দর হয় ও সঙ্গে সঙ্গে ওখানেই তাদেরকে নির্দয়ভাবে মেরে ফেলে।
ওর অনেক কালো রহস্য আছে, ওর এই সৌন্দর্য পিছনে কতই না ভয়ঙ্কর রহস্য লুকিয়ে আছে। যার আন্দাযাও কেউ লাগাতে পারে না। কথাই বলে অনেকে যে জিনিসটা বাইরে থেকে সুন্দর সেটা ভেতরে থেকে সুন্দর হবে তার কি গ্যারান্টি আছে আয়ুস এর ক্ষেত্রেও ওইরকম আয়ুস বাইরে থেকে যত সুন্দর ভেতরে তার থেকেও কালো। ওর ভয় সবার হৃদয়ে ছড়িয়ে আছে।
দেখতে গেলে আয়ুস এর দুটো রূপ আছে। হয়তো ওর নামের ভয় ছড়িয়ে আছে পুরো পৃথিবী জুড়ে কিন্তু আজ অব্দিকে কেউ ওকে দেখেনি, না তো ওর নাম শুনেছে সবাই শুধু ওকে কিং অফ হ্যাল নামে জানে। তারপরে বিজনেস ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি আরো সপেতে ওর অনেক নাম আছে। আর ওর ডাইমন্ড আর সোনার অনেক বড় বিজনেস আছে যেটা পুরো ওয়ার্ল্ডে ফেমাস।
আর শুধু মহিলা কেনো পুরুষরা ওর সৌন্দর্যের ফিদা হয়ে যায় ওর সৌন্দর্যে। কিন্তু ও নিজের দিয়ে সুন্দরের থেকে হিংসা করে, আর মেরে ফেলে।
আয়ুস আর পৃথিবীর জন্য নিজের ড্যাডির জন্য যাই হোক মাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসে ও ওর মায়ের জন্য সবকিছু করতে পারে।
একমাত্র এই গুণটাই ওর মধ্যে ভালো ছিল তা নাহলে ওর রূপ ছাড়া আর কিছুই ভালো ছিল না ওর মধ্যে। কিন্তু ও ওর মাকে ভীষণ ভালোবাসে। ওর মা ওকে ভালোবাসার সাথে আয়ু বলে ডাকে । ও কখনো নিজের মায়ের গ্রামে যায়নি আর কখনো ইচ্ছাও করেনি।
আর মায়ের গ্রামে যাবেই বা কি করে ওর ড্যাডি আজ অব্দি কখনো ওকে যেতে দেয়নি। অনেক বছর আগে ওর ড্যাডি ওই গ্রামে গিয়েছিল একটা টেন্ডারের জন্য আর ওইখানেই ওর মাকে পছন্দ হয়ে যায় আয়ুস এর মাকে ভীষণ সুন্দরী দেখতে ছিল অপ্সারা হার মেরে যাবে, ওনার সৌন্দর্যর কাছে ঠিক আয়ুসেরই মতন। এক পক্ষে বলা যায় তো আয়ুস ওর মায়ের মেল ভার্সন ছিলো ।
আয়ুস নিজের মায়ের কথা ভাবতে ভাববে বিছানাতে উঠে বসল আর আয়নাতে ভালোভাবে নিজেকে দেখলো আর বলল"মাম্মী ড্যাডির শাস্তি আমি কেনো পাবো? ড্যাডির জন্য আমাকে কেনো একলা ফেলে রেখে চলে যাও। তবে আমি তাড়াতাড়ি আসছি, কিন্তু তার আগে আমাকে আমার একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হবে"
______*
অন্যদিকে একটা ছোট্ট গ্রামের মধ্যে
সকালে সূর্য উঠছে আর চারিদিকে উজ্জ্বল করে তুলেছে ওই গ্রামেই একটা ছোট্ট ইটের ঘরেতে।
একজন মহিলা ঝাড়ু লাগাচ্ছিল আর রাগের সাথে বকবক করেছিল"এত বড় মেয়ে হয়ে গেলো কাজকর্মের তো কোনো জ্ঞানই নেই ।সব সময় খালি টিভি আর ফোন নিয়েই পড়ে আছে।আর ওর বাপটাও কিছু বলছে না, দুই বাপ বেটি আমার জান বার করে দেয়। আমাকে এসব কাজ করতে হবে। এত বড় মেয়ে ঘরের একটাও কাজ করবে না খালি খাবে ফোন ঘাটবে টিভি দেখবে! পরের বাড়ি গেলে তখন বুঝবে ঠেলা। মা কেনো এরকম বলত!"
অন্যদিকে একটা ছোট্ট খাটের মধ্যে মুখ অব্দি কাটা চাপা দিয়ে নাক ডাকতে ডাকতে কেউ ঘুমিয়ে ছিলো।
আর তখনই ওই ঘরেতে একটা ছেলে ঢুকলো আর এই সিনটা দেখল সাথে সাথেই ওর মুখে একটা ভয়ংকর হাসি চলে এলো। আর ওর মনের শয়তানি কিছু এলো ও তাড়াতাড়ি করে বাইরে গেলো আর ওই মহিলাটাকে বলল"ও মা...মা দিদি এখনো ঘুমাচ্ছে! আমি কি নিজের পদ্ধতিতে দিদিকে তুলব ঘুম থেকে? কিন্তু মা দিদি আমাকে মারলে তোমাকে বাঁচাতে হবে কিন্তু আমায়"
এটা শুনে মা রাগের সাথে বলল"হ্যাঁ তোল তো ওকে দেখি মেয়েটা তোর সাথে কি করে? আমি আছি তোর সাথে যা ওকে তোল আর বল বাসুন গুনি মাঝদে।"
ছেলেটার মুখের হাসি আরো বেড়ে গেলো আর ও তাড়াতাড়ি করে একটা বালতি নিয়ে নিল যার মধ্যে অনেক জল ছিল।
খুব তাড়াতাড়ি করে বালতির জলটা নিয়ে ঘরে ঢুকে পড়ল আর আস্তে আস্তে কম্বল ডাকে সরালো আর ওই গোটা বালতির জল ঢেলে দিল যে ঘুমিয়েছিল তার শরীরে সাথে সাথেই ওই ঘুমিয়ে থাকা মেয়েটা চিৎকার করে উঠে বলল "ওমা,,,, ভুতে আমাকে জলে ফেলে দিলো ভুতে আমাকে চুবিয়ে ফেলছে ভূতে আমাকে গলা টিপে মেরে ফেলবে জলেতে চুবিয়ে।"
এই বলে মেয়েটা চোখ খুলে আশেপাশে দেখল আর পরক্ষণে রাগের সাথে মেয়েটা নিজের ভাইয়ের দিকে দেখলো আর চিৎকার করলো"ওমা, ভাই আমাকে জল দিয়ে ভিজিয়ে দিয়েছে। এই ছেলেটাকে তো আজ আমি মেরে ফেলবো প্রত্যেকদিন আমাকে জ্বালাতন করে! থাম কুত্তা তুই এখানে আয় আমাকে জ্বালাতন করা তো বার করছি। আজ না, তোকে মেরে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেবো"
এই বলে রাগের সাথে মেয়েটা উঠে দাঁড়ালো আর তখনই ঘরেতে মা ঢুকলো আর বলল"একদম চুপ কর পাগল বে। সারাক্ষণ খালি ঘুমাবে ফোন কাটবে খাবে। কাজকর্মে তো কোন জ্ঞান নেই পড়াশোনার নাম নেই! সারাক্ষণ খালি উল্টোপাল্টা কাজ ঠিক করেছে আমি ওকে এটা বলেছি"
কথাটা শুনে মেয়েটা ভীষণ রেগে গেলো আর রাগের সাথে বলল"মা এটা কিন্তু ঠিক করিস নি তুই একজন ঘুমন্ত মানুষকে এইভাবে তোলা কত বড় ক্রাইম জানিস এর জন্য তোকে জেলেও যেতে হতে পারে!"
মা রেগে দাঁতে দাঁত পিষে বলল"আহারে তুই আমাকে জেলে পাঠাবি তুই দাঁড়া, তোকে তো আমি যমরাজের কাছে পাঠাবো যখন পরের বাড়ি যাবি তখন বুঝবি ঠেলা। এখন যা ফুর্তি করার করে নে।"
তখনই বাড়ির ঝগড়া চিৎকার শুনে পাশের বাড়ির লোক জড়ো হতে লাগলো। আর দেখতে লাগল এদের ঝগড়া, গ্রামেতে এরকমই হয়। কারুর বাড়ি ঝগড়া হতে না হতে লোকজন জড়ো হয় আর মজা নিতে শুরু হয়ে যায়।
এদিকে রাগের সাথে মেয়েটা বলল"মা খালি কি পড়ের বাড়ি পরের বাড়ি করিস দরকার নেই পরের বাড়ি। আমি একদিন অনেক বড় রাইটার হবো আর নাম কমাবো। নিজের পায়ে দাঁড়াবো কারোর কোন প্রয়োজন নেই। আর বারবার পরের বাড়ি পরের বাড়ি করবে না আমি কিছু বলি না বলে যা নয় তাই মনে করেছে এই মহিলা মা টা"
তখনই ওখানে একটা খুবই আকর্ষণীয় মহিলা ঢুকলো। সাথে সাথেই সবাই সরে গেল মহিলাটা ভীষণ সুন্দরী ছিল বয়স হলেও বোঝা যাচ্ছে না।
মহিলাটা মেয়েটার মায়ের দিকে তাকালো আর অবাক হয়ে বলল"আরে দিশা কি হয়েছে? মেয়েকে এভাবে বকছিস কেন?"
এটা শুনে মেয়েটার মা রাগের সাথে বলল"দিদি তুমি জানো না এই মেয়েটা এতটা দুষ্টু হয়ে গেছে সারাক্ষণ খালি ফোন ঘাটবে, আর এ পারাওপারা করবে আর ঘুমোবে ঘরের কাজকর্ম তো কোনো নাম নেই পরের বাড়ি গেলে তখন কি হবে? এখন থেকে এই অবস্থা বেলাও বারোটার সময় ঘুম থেকে উঠবে"
এটা শুনে ওই আকর্ষণীয় মহিলাটা যার চুলের কালার একদম সিলভার ছিল গায়ের রং দুধের মতন ফর্সা আর ঠোঁট এমন হয়েছিল যেন এখনই রক্ত চুষে এসেছে কারুর। উনি মেয়েটার দিকে তাকালো।
(তো কি হতে চলেছে এরপর?জানবার জন্য পরের পর্ব পড়তে হবে)