Devil's Passionate Love - 2 in Bengali Love Stories by Queen Of Hell Sania books and stories PDF | Devil's Passionate Love - 2

Featured Books
Categories
Share

Devil's Passionate Love - 2

আরোহী শুনল ,
ওর বাবা বলল সৎ মাকে,"জান তুমি সত্যিই পারো বটে কিভাবে অ্যাক্সিডেন্টটা করালে আর ওর সব প্রপার্টি আমার নামে হয়ে গেল, শালা আমার বুড়ো বাপ কি দেখে যে ওই আন এডুকেটেডফুলটার সঙ্গে আমার বিয়ে দিয়েছে আফটার অল আমার সব ওই প্রপার্টি ওই আন এডুকেটেডফুলের নামে করে দিয়েছে।

এটা শুনে আরোহীর পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেল আর ওই ভাবতেও পারছি না ওর বাবা এরকম করবে। কিন্তু তারপরের যেই কথাটা বলল ওর বাবা সেটা শুনে তো ওর অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার অবস্থা।

ওর বাবা ওর সৎ মাকে বলল,"হিনা আমার নিজের মেয়ে আর ওই আন এডুকেটেড ফুলের মেখে আমার সহ্য হয় না আমার মেয়ে শুধু হেনা।

এটা শুনে আরোহীর থেকে বন্যার মতো জল ভারতে শুরু হয়ে গেল, রহিয়ার এক মুহূর্ত না ওখানে থেকে নিজের রুমে চলে গেল আরোহীর রুমে গিয়ে চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করলো।

আরোহী কাঁদতে কাঁদতে নিজের ভাগ্যকে এসবের দায়ী করতে লাগলো,"কেন আমার সঙ্গে এটা হয় ভাগ্যটাই খারাপ আমার আমি কেন মরে গেলাম না আমার মায়ের সঙ্গে তাহলে আর আমাকে এই দিনটা দেখতে হতো না।

আরোহী কে সামলানোর আর ওর কান্না থামানোর কেউ ছিলনা একমাত্র ওর মাই ছিল। যে সব বিপদ আপদে রক্ষা করতো কিন্তু এখন আর ওর কাছে নেই ওর মা।

এরপর থেকে আরোহীর রোজ খারাপ স্বপ্ন আসতো আরোহীর শরীরটা দিনকে দিন বমি মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়া আরও ইত্যাদি আরোহীর দিনকে দিন ওর হাল বিক্রে যাচ্ছে।

একদিন ওর সৎ মা ওকে হসপিটাল নিয়ে যা তারপর জানতে পারে ও প্রেগন্যান্ট।

আরোহী বুঝতে পারছে না ওর সঙ্গে কেন এরকম হলো? ঠিক আছে? ওর সৎ মা একটা বাহানা পেয়ে গেল ওকে ঘর থেকে বার করার আর ওর বাবা ওর সাথে ছিল ওকে ঘর থেকে বার করে দিল ও অনেক হাতে পায়ে ধরেছে কোথায় যাবে কি করবে কিন্তু একটু ওর উপরে মায়া দয়া করল না।

আরোহীর এসব কথা শুনে মোহনা মাসিও খুব দুঃখ পেল।

মোহনা মাসি আরোহীকে একটা শাড়ি দিলো আরোহীর পুরো জামা কাপড় ভিজে গেছে এই ভারী বৃষ্টিতে।

আর আরোহীকে কিছু খাবার দিলো আরোহী খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ল।

মোহনা মাসি খুব চিন্তায় পড়ে গেছে কি করবে কারণ এই গ্রামের সবাই তো ওদের ঠিক ভাবে বাঁচতে দেবে না ওরা যখন জানতে পারবে যে আর ওই বিয়ে না করেই গর্ভবতী হয়ে গেছে।

এসব ভাবতে ভাবতে মন আমার সেও ঘুমিয়ে পড়ল।

আরোহীর ঘুম আসতে ই স্বপ্ন দেখল।
আরোহী একটা নির্জন জঙ্গলের মধ্যে আছে আশেপাশে অনেক পাইন গাছ সব শুকনো একটার মধ্যেও পাতা নেই আশেপাশে কেরাম ধোয়া ধোঁয়া আবহাওয়া আস্তে আস্তে ধোঁয়া গুলো সরতে লাগলো। আরোহী খুব ভয় পেয়ে গেল এখানে সব গাছ শুকনো ছিল আরো এবার ভয়েতে দৌড়াতে শুরু করলো আরোহী যত দৌড়চ্ছে ততই যেন রাস্তা বাড়ছে রাস্তার শেষ হচ্ছে না।

আরোহী চিৎকার করে কাঁদছে কিন্তু ওর কান্না শোনার কেউ নেই এখানে।

আরোহী এসবের মধ্যিখানে একটা আশার আলো দেখলো। একটা বড় হাভেলি যার বাইরে হালকা হালকা আলো জ্বলছে। আর দেখে মনে হচ্ছে কেউ থাকে এখানে। হবে এটা খুবই সুন্দর দেখতে ছিল কিন্তু ভাবনার বিষয় ছিল যে এই হাভেলি টা পুরোটাই কালো আর এখানে বাগানের ফুল পর্যন্ত সব কালো যারা এখানে কোন রং এর নামই নেই এসবের মধ্যেও খুবই আকর্ষণীয় লাগছে হাভেলিটা।

আরোহীর ওই হবে লিটার মধ্যে ঢুকলো আরো হিট ঢুকে দেখল যে পুরো হাবিলি কাল শুধু বাইরে থেকে না ভেতরে থেকেও ও ঢুকতেই ওর পায়ের কাছে কিছু একটা ঠেকলো কিন্তু ইগনোর করে দিল। আর ওর হাতেও কিছু জল জাতীয় জিনিস পরল ওটা কেউ ইগনোর করে দিল।

ও একটা রুমের মধ্যে চলে গেল এই হাভেলটা অনেক বড় ছিল কিন্তু রুমে গিয়েও যা দেখল ওরে বার হার্ট অ্যাটাক হয়ে যাওয়ার অবস্থা।

একটা লোক এর উপর পা তুলে একটা কালো সিংহাসনে বসেছিল একটা মাথা থেকে পাও দিক কালো জামাই ঢাকা, ওই লোকটার হাতে একটা গন্ডাসা ছিল লোকটার সামনে অনেক গুনি লোক ছিল যাদের শরীরে একটাও জামা কাপড় নেই তারা ঐ লোকটার কাছে হাত জড়ো করে তাদের প্রাণের জন্য প্রাণ ভিক্ষা চাইছে।

কিন্তু পরক্ষণেই দেখা গেল ওই লোকটা ওর সিংহাসন থেকে উঠে দাঁড়ালো আর ওর মুখোশ টা খুলল ওই লোকটার মুখের কাছে অনেক ধোঁয়া ছিল। যার ফলে লোকটার মুখই দেখা যাচ্ছে না আস্তে আস্তে ওই লোকটার ডানা বার হতে শুরু হলো আর ঐ লোকটার নখকুনি বড় হতে শুরু হল ওই লোকটা কিছুক্ষণ পরেই একটা শয়তানে পরিবর্তিত হয়ে গেল।

যেটা দেখে আরোহী জোরে চিৎকার করে ওর স্বপ্ন থেকে আসল দুনিয়ায় ফিরে এলো ও জোরে জোরে হাপাতে শুরু করল ওর পেটের মধ্যে অসহ্য যন্ত্রণা উঠে গেছে।

মোহনা মাসি ওর আবার শুনে উঠে পড়ল তাড়াতাড়ি আরোহী রুমের দিকে চলে গেল গিয়ে দেখল যে আরোহী ব্যথায় ছটফট করছে।

মোহনা মাসি তাড়াতাড়ি করে ওর কাছে গেল আর আরোহীর ওষুধ খাইয়ে দিল।

কিন্তু এতে একটুও ব্যাথা কমেনি আরো তারপরের মোহনা মাসি নিজের রুমে চলে গেল আর একটা কাচের বাটির মধ্যে লাল লাল টাইপের লিকুইড নিয়ে আসলো ওটা লিকুইড টা কি ছিল এটা শুধু মোহনা মাসি জানে।

ওটাকে খাইয়ে দিল আরোহী কে ওটা খাওয়ার পর আরওয়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যথা কমে গেল আরো ঘুমের জগতে হারিয়ে গেল,

ঘুমোতে দেখে মোহনা মাসি তাড়াতাড়ি করে নিজের রুমে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দিল মোহনা মাসির হাত পা ভয়ে ঠান্ডা হয়ে গেছে। ও ভাবতেও পারেন ,"এটা কি করে সম্ভব এটা হচ্ছেটা কি এর মানে কি যেটা আমি ভেবেছি ওটাই??? এটা হতে পারে না এটা হতে পারে না আমাকে কালকের এই ওখানে যেতে হবে এর মানে ওই পাদ্রী যেটা বলেছিল ওটাই সত্যি ওই পাদ্রী ভবিষ্যৎবাণী করেছিল আরোহী জন্মের পর ওটা সত্যি। 😰

আমি কি করবো আমি কি করবো? কালকের আমাকে যেতেই হবে না হলে আরোহীকে বাঁচাতে পারবো না। ওর গর্ভে একটা শয়তানের পুত্র রয়েছে ।

মোহনা মাসি ভাবতে শুরু করলো--

আরোহী জন্মের দুদিন পর আজব আজব ঘটনা ঘটতে চারিদিকে এমনকি নিজেকে কখনো কোথাও অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে এইসবের জন্যই একটা চার্জের ফাদার এর কাছে নিয়ে গেল ওর মাসি/ আর ওর মা কিন্তু ওখানে গিয়ে পাদ্রী যা বলে সেটা শুনে আরোহীর মাসির আর মাসির পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেল।

পাদ্রি আরোহী কে দেখে বলতে শুরু করল,"সম্ভব না এটা কি করে হতে পারে? এই নিষ্পাপ কন্যা যখন ১৮ পার হবে তখন ওর গর্ভে; devil king child এই পৃথিবীতে আসবে আর ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবে এই পৃথিবীতে।

"এটাকে আটকানোর একটাই উপায় ওকে ওর ভালোবাসা দিয়ে নিজের সন্তানকে আলোর পথে নিয়ে আসতে হবে তা না হলে ও নিজেই শয়তানের পথে এগিয়ে যাবে, ওকে নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে আর ওর আগের জন্মে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা যার জন্য ওর এ জন্মে এরকম হচ্ছে ওকে কখনো মুশকিলে সবাই ঝুঁকে পড়লে চলবে না ওকে ওর সন্তানকে রক্ষা করতে হবে আর আলোর পথে নিয়ে আসতে হবে ওর সন্তানকে,

"আর ওর ভাগ্য যদি ওর সাথে থাকে তাহলে ও devil king ও নিজের ভালোবাসা দিয়ে ভালো পথে নিয়ে আসতে পারবে।

"কিন্তু,

আরোহীর মা ,"কিন্তু কি ফাদার????