সেদিন স্বপ্নে দালালির চাকরী করছিলাম। কাজটা খুবি অদ্ভুত। আর পোস্টার করতে পারছি না দেখে অডিও স্টোরি কমিউনিটি থেকে আমাকে পি আর টিমে রেখেছে। ওয়ার্কিং আওয়ার বলে কিছু নেই। যখন ডাকবে যেতে হবে। আমার কাজ কিছুটা টিন্ডারের মত।
হয়তো একদিন ব্যোমকেশের বৈঠক খানায় হাত কচলে বললাম “আজ্ঞে আপনাকে একটিবার আমেরিকা যেতে হচ্ছে। ওপেন হাইমারের সাথে একটা ক্রসওভার আছে। করে দিতেই হবে দাদা।“
প্রথম বলায় কেউই রাজি হন না। কয়েকবার গাঁটের কড়ি খরচ করে কচুরি নিয়ে যেতে হয়। সত্য বৌদির রিল বানাবার জন্য রিঙ লাইট, খোকার দুষ্টু চ্যানেলের সাবস্ক্রিপশান। তবে গিয়ে ওয়ান ফাইন মর্নিং ব্যোমকেশ বলবেন, “আমি যাব তাহলে। কিন্তু কোন চেহারায় যেতে হবে? অনির্বাণ না আবীর?”
আমি মাথা চুলকে বললুম, “আজ্ঞে আমাদের পোস্টার আর্টিস্টের দেব আর অম্বরিশ কে আঁকার ইচ্ছা হয়েছে।“
“ও তাই নাকি?” পায়ের চটি দুটো খুলতে খুলতে বড় স্নেহের সাথে জিজ্ঞেস করেন ভদ্রলোক…
তো এভাবেই আমার দিন গুজরান হয়। বড়ই কষ্টের জীবন। আর সবার ডিমান্ড এখন এত বেড়ে গেছে! তবে এ ব্যাপারে নাকের ওপরে একেবারে মৈনাক পর্বত পুষে রেখেছেন জ্যোতিষার্ণব তারানাথ! মধু সুন্দরী দেবী কে কাঁচকলা দেখিয়ে তাঁর এখন রমরমে ব্যবসা।
এক তো তাঁকে কোথায় পাওয়া যাবে জানা যায় না। গেলেও তাঁর অ্যাপো পাওয়া আরই মুস্কিল। আমার মত এজেন্টরা সবসময় ঘিরে থাকে। বুড়োর দেমাকও হয়েছে সেই লেভেলের!
কিন্তু চাকরী তো বাঁচাতে হবে। তাই একে ওকে ঘুষ দিতে লাগলাম। এই দুনিয়ায় কেন কে জানে লেনদেন হয় পটলের মাধ্যমে। বাজারের প্রায় সব পটল উজাড় করে অ্যাপো আর লোকেশন দুইই পাওয়া গেল।
সে কলকাতার এক নির্জন গলি। ক্যা ক্যা করে কাক ডাকছে। অনেক খুঁজে পেতে দেখলাম- শতরূপ ঘোষের গাড়ির নীচে শুয়ে শুয়ে শ্বেত বগলার পুজো করছেন তারানাথ।
আমিও পাশে শুয়ে পড়ে বললুম, “ঠাকুর মশাই। আমার একখান প্রস্তাব ছিল…”
আমাকে একবার আড় চোখে দেখে নিয়ে মীরের ভয়েস ওভারে জিজ্ঞেস করলেন, “গল্পের নাম কী?”
আমি এক টিফিন বাটি পটলের দোর্মা সামনে রেখে বললাম, “ আজ্ঞে গল্পের নাম ‘বার্বিল্যান্ডে তারানাথ।‘”
তারানাথ দেখা গেল প্রফেশনাল। ব্রিফ ট্রিফ কিছুই শুনলেন না। পাঁচ ঝুড়ি পটলের বদলে রাজি হয়ে গেলেন।
আমার নিয়োগকর্তারা তো খুব খুশি। পটলের বিচির মত দাঁত বের করে আমার ঘাড়েই দায়িত্ব চাপাল তারানাথ কে নিয়ে যাওয়ার। এমনিতে এদের গল্পগুলো পড়লে শরীর খারাপ করে বলেই পোস্টার ছেড়ে এজেন্টের চাকরী নিয়েছিলাম, কিন্তু কি আর করা যাবে। উপরি পটলের লোভে পড়তেই হল।
গল্পটা হল এরকম। বার্বি চরিত্রদের ওপর প্রতিনিয়ত এ আই অ্যাটাক হওয়ায়- কেউ আর নিজের আসল মুখ মনে করতে পারছে না। দম পিশাচের নজর পড়েছে বার্বিল্যান্ডে। সবার সারাক্ষণ মন খারাপ থাকে। সবকিছু গোলাপির বদলে আসতে আসতে বাসন্তী কালারের হয়ে যাচ্ছে। রাজকন্যা বার্বির পা নেমে এসেছে মাটিতে। তাঁর মধ্যে হার্লি কুইনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য দেখা যেতে লেগেছে। তিনি এখন হনুমান স্টাইলে কাঁধে মুগুর নিয়ে ঘুরে বেড়ান রাজবাড়িতে।
এই সব শুনে তারানাথ বাংলার তীর স্নিগ্ধ সমীর করতে করতে গঙ্গায় ডুব দিয়ে বার্বিল্যান্ডের ফোয়ারা তে গিয়ে উঠবেন। তারপর রাজবাড়িতে গাণ্ডেপিণ্ডে গিলে শুরু করবেন অ্যাকশন।
এবার তারাবাবু কে গোলাপি ধুতি, গোলাপি উত্তরীয় পরিয়ে-টরিয়ে রওনা তো হলাম। কিন্তু সমস্যা হল আমি বার্বি দেখিনি। তাই স্বপ্নের ফেরিওয়ালা সফটটুন্সের কাঁচা হাতে আঁকা রাজা কৃষ্ণ চন্দ্রের রাজ বাড়িটায় গোলাপি ফিল্টার মেরে চালিয়ে দিয়েছে। কী আর করা, আলাদা করে ডিজাইনার রাখার পয়সা কই!
তারানাথ তো পুরো চরিত্রের মধ্যে। কবজি কী! গামলা সাইজের থালায় প্রায় কনুই ডুবিয়ে খাচ্ছেন। আমি একটু “স্যার স্যার” করতে গেছিলাম। হুলো বেড়ালের মত দেখতে একটা চিংড়ি মাছ চেবাতে চেবাতে বললেন, “পরে খেও।“
কি আর বলব। প্রফেশনাল এথিকস। মেনে নিলাম।
খাওয়া দাওয়া করে দাঁত খুঁটতে খুঁটতে তারানাথ বার্বির ঘরে গেলেন। আমার ওপর তারানাথের মন্ত্র আছে বলে ঘুলঘুলির থেকে কালো নাইটি দুলিয়ে বসে থাকা দম পিশাচটাকে আমিও দেখতে পেলাম। দম পিশাচের মুখ হয় না। তবু মনে হল খচ্চরটা হাসছে। নীচে বার্বি দিদি একটা ইয়া বড় হাতুড়ি দিয়ে মনের আনন্দে শরৎচন্দ্রের মত দেখতে কেন কে পেটাচ্ছেন। বর পেটান দেখতে আমার সবসময়ই ভাল লাগে। কিন্তু এখন ডিউটি ফার্স্ট।
‘স্যার কিছু করুন!’
তারানাথ পিশাচটার দিকে আঙুল উঁচিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুই কে?’
সে খিঁ খিঁ করে হাসল শুধু।
আমি পাশ থেকে বললাম, ‘হ্যারি পটারের প্রোডাক্ট স্যার। তবে এটা মনে হচ্ছে আদিপুরুষের ডুপ্লিকেট মালটা’
তারানাথ কিছু না বলে- কোথা থেকে একটু জল এনে দম পিশাচের দিকে ছুড়ে মারলেন। কিন্তু দম পিশাচ ক্যাট পার্সন নয়, ডগ পার্সন। তাই তার কিছুই হল না। সে আরও খ্যাঁ খ্যাঁ করে হাসতে লাগল। এদিকে শরৎচন্দ্র রামপাট ক্যালানি খাচ্ছেন। খুব মন খারাপ হল। হলামই বা শিবরামের ফ্যান, তাই বলে কি আমার মন নেই?
কিন্তু ততক্ষণে মীরদা কে রাখার মত বাজেট ফুরিয়ে গেছে। জুনিয়ার আর্টিস্টের অটোটিউন মারা গলায় তারানাথ বলে উঠলেন, ‘দমপিশাচের ভ্রমর কৌটো খুঁজে বের করতে হবে। চলো…’
‘ইয়ে স্যার! আবার ঠাকুমার ঝুলিতে যেতে হলে বাজেট পেরিয়ে যাবে। এখানেই যদি কিছু…’
মিনমিন করে বললাম আমি।
আগেই বলেছি তারানাথ প্রচণ্ড প্রফেশনাল। সাথে সাথে নিদান দিলেন।
“মহা যজ্ঞ হবে। মহাযুদ্ধ হবে। সূর্যাস্তের আগে কিছু জিনিস আমার সামনে এনে হাজির করো।“
আমি কলম নিয়ে রেডিই ছিলাম। যেমন যেমন শুনলাম লিখে গেলাম।
*ব্যর্থ ইউটিউবারের ঘামে ভেজা বগলের লোম
*ইসরোর মহিলা বিজ্ঞানীদের পবিত্র শাড়ি থেকে খুলে পড়া দুই আঙুল সুতো
* রিল বানানো কুমারী মেয়ের মুখের এক চিমটে ময়দা
* আর রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের লালাতে চোবান ১৩ টা পটলের বিচি।
ড্রাম বাজল, কাঁসর ঘণ্টা হল। পরিস্থিতির আদিমতা বোঝাতে কিছুটা জিংগালালা সাইন্ডও লাগান হল ব্যাকগ্রাউন্ডে। এমনিতে আছি রাজবাড়িতেই। জিনিসপত্র জোগাড় হতে সময় লাগল না। শুধু রঞ্জু জেঠুর ভার পড়ল আমার ওপরে। রানি মা খুব করে বাবা বাছা করে ধরলেন। বেচারার মেয়ে দিন কে দিন জোকার হয়ে যাচ্ছে। মায়ায় হল আমার। তাই বেরিয়ে পড়লাম।
বার্বি ল্যান্ডের রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় এখন আর বই লেখেন না। একলা মানুষ, দুটি রেঁধে খান। আর সকাল বিকেল পাড়ার কাকিমাদের সাথে পি এন পি সি করেন।
রঞ্জু ঠাকুরপোর এ জন্য খুব রেলা নিজের পাড়ায়। আমি যখন গেলাম, তখন তাঁর জয় বাংলা হয়েছে না রবিঠাকুর এসে ক্যালিয়ে গেছেন বুঝলাম না। কিন্তু দেখলাম একটা গোলাপি সানগ্লাস আর একগাদা গোলাপি হৃৎপিন্ড আঁকা হাউসকোট পরে বাড়ির দাওয়ায় বসে আছেন। সাথে মাকড়সার রসের নন্দদুলাল বাবু। আমি তো তখন তারানাথের ইচিং-বিচিং মন্ত্রে অদৃশ্য। তাই আমার সামনেই দিব্যি গল্প চালিয়ে গেল বুড়ো দুটো।
ভাই রে ভাই, সে কি গল্প! একটু শুনেই আমার কান দিয়ে ধোঁয়া বেরতে লাগল। ধোঁয়া কাটতে দেখি একপাশে একখান কলাগাছের ছদ্মবেশে জনি সিন্স দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কী কী সব নোট নিচ্ছে, আর ফিক ফিক করে হাসছে।
যাই হোক ওর হাসি দেখেই আমার তখন ডিউটির কথা মনে পড়ে গেল। রঞ্জু জ্যাঠার মুখ দিয়ে এমনিতেই কাম রস চলকে পড়ছিল। তাই থেকে খানিক নিয়ে চলে এলেই হত। কিন্তু কাছে গিয়ে শুনি বুড়ো তখন এমা ওয়াটসনের ব্যাপারে কথা বলছে। ব্যাস! আমার তার গেল কেটে। স্বপ্নে এমা ওয়াটসনের সাথে আমার মিনিমাম চারবার বিয়ে হয়েছে। শেষবার তো কন্যা সম্প্রদানের সময় ডাম্বলডোর হাউহাউ করে কাঁদতে কাঁদতে বলেছিলেন, ‘ঠুমার মট নিগার মাগলু, হারমায়ানি কে লইয়া যাইবে ইহা আমি স্বপ্নেও ভাবি নাই।“
সেই কুঁচবরণ কন্যা এমা/হারমায়ানির দিকে তাকাচ্ছে এই বুড়োগুলো! বদাম বদাম করে দুই খানা ঘুষি চালালাম বুড়ো দুটোর চোয়ালে। প্রেমিকদের ঘুষিতে প্রচুর তেজ থাকে। মাল দুটো গাঁজলা টাঁজলা তুলে চিৎপটাং হয়ে গেল। আমি আর কি করি! টেস্টটিউবে করে খানিকটা লালারস নিয়ে পালিয়ে এলাম।
তারপর যখন সূর্যদেব প্রায় অস্তাচলে যেতে বসেছেন তখন শুরু হল তারানাথের যজ্ঞ। সমস্ত উপকরণ উপচার মিশিয়ে একখান হেবি দেখতে লাল ধোঁয়া ছড়িয়ে দিলেন বার্বি কুমারীর ঘরে।
দম পিশাচটা বাংলা অডিও স্টোরি শোনে না। তাই তারানাথ কে এতক্ষণ ‘হালকা তে নিয়ে রেখেছিল।‘ এবার এই ধোঁয়া নাকে যেতেই নড়ে চড়ে বসল।
তারানাথের তখন আলাদাই সোয়্যাগ। ঘরের মধ্যে কোত্থেকে যেন একগাদা হাওয়া ঢুকে- তাঁর চুল দাড়ি ভয়ানক ভাবে উড়তে লেগেছে। কাঁধের গোলাপি উত্তরীয় দোল খাচ্ছে শূন্যে।
‘কী রে কী হল? আয়!” তারানাথ বাঁকা হেসে ডাক দিলেন। দমুও এই অপেক্ষাতেই ছিল। সেও সাথে সাথে ঝাঁপিয়ে পড়ল।
শুরু হয়ে গেল যুদ্ধ। সে কি ভীষণ খাদ্য খাদকের যুদ্ধ! দম পিশাচ একটা বিশাল বোয়াল মাছ সেজে তেড়ে আসে, তো তারানাথ কুমিরের বেশ ধরে তাকে তেড়ে যায়। তখন দমু মোচিজি সেজে পটাপট জিনিস বাতিল করতে শুরু করে, আর এদিকে তারানাথ আদানির রূপ ধারণ করে মিটিমিটি হাসেন।
এরকম পুরো বাস্তুতন্ত্র তোলপাড় করে যুদ্ধ চলতে থাকে। দুজনের ছদ্মবেশই প্রচণ্ড নিখুঁত। শুধু দমুর সাজা সমস্ত জীবের রঙ কালো আর তারানাথেরগুলো সব গোলাপি।
একবার দেখি একটা প্রচণ্ড বড় কালো সিংহ আমার দিকেই তেড়ে আসছে। সে শূন্যে লাফিয়েও পড়েছিল আমাকে লক্ষ্য করে। কিন্তু আমার ওপর পড়ার আগেই একটা ইয়া বড় গোলাপি রঙের অ্যানাকোন্ডা তাকে পাকিয়ে চিড়ে চ্যাপটা করে একেবারে মেড ইন ইন্ডিয়ার লোগো বানিয়ে ফেলল।
‘স্যার আর বেশিক্ষণের বাজেট যে নেই। অলরেডি আড়াই ঘণ্টার গল্প হয়ে গেছে।‘ আমি মিনতি করি।
আর আপনারা তো জানেনই তারানাথ প্রফেশনাল। দম পিশাচ যেই অ্যানাকোন্ডার দঙ্গল থেকে বাঁচতে একটা ডেঙ্গু মশার রূপ নিয়েছে। অমনি তারানাথ মর্টিন কয়েল হয়ে, দমুর পঙ্কায় দিল একটা রাম ছ্যাঁকা। মন্ত্রপূত কাছুয়ার আগুনে চিরচির করে পুড়ে গেল দমপিশাচের দেহ!
গল্পের এমন ক্লাইম্যাক্সে শ্রোতারা হতাশ। সাবস্ক্রিপশান কমে গেল। কিন্তু বার্বি ল্যান্ডে শান্তি নেমে এলো। রাজ্যে সমস্ত গোলাপি ফিরে এসেছে। রাজকুমারীর পা আবার মাটি থেকে ওপরে উঠে গেছে এখন।
তাকাব না তাকাব না করেও তাঁর দিকে তাকিয়েই ফেললাম একবার। ছোটবেলায় বোন কে কাঁদিয়ে এর মাথা নিয়ে গেণ্ডুয়া খেলেছি। মাঝে মাঝেই একটা হাত খুলে নিয়ে গিয়ে দাদুর কানে সুড়সুড়ি দিতাম। আর আজ কিনা তাকে দেখেই আমার হার্ট-বিট মিস হয়ে যাচ্ছে! ধক…ধক…ধক…(মিস)…ধক-ধক-ধক…(মিস)…ধকধকধক…(মিস)...
বার্বি আমার দিকেই এক পা এক পা করে এগিয়ে আসছেন। তারানাথ যাই করুক, সব কিছুর পিছনে মূল হোতা তো আমিই। আমাকেই থ্যাংক ইউ বলা উচিৎ। আর হলিউডে থ্যাংকইউ বলার প্রসেস তো…। আমার জিভ শুকিয়ে গেল। আশেপাশের সমস্ত কোলাহল হয়ে এলো শান্ত। যে কটা গাছে যত শুকনো পাতা তখনও বেঁচে ছিল- সব ঝরে গিয়ে গোলাপি চেরি ফুলে ভরে গেল গোটা শহর।
বার্বি আর আমি এখন একদম সামনা সামনি। বিনা কারণেই কোথায় একটা ভায়োলিন বাজছে।
বার্বি আরও এগিয়ে এসে আমার হাত দুটো ধরলেন।
“জয় তাহলে আমাদেরই হল?”
বার্বির গলাটা একটু যেন খড়খড়ে। কিন্তু তখন অত না ভেবে বললুম, ‘বিলক্ষণ! আমিই তো…”
“এসো তাহলে উল্লাস করি…”
“অবশ্যই অবশ্যই।“
তারপরে বোধহয় পার্টির কথাই বলতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ সেই খড়খড়ে গলায় আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে বার্বি চিৎকার করে উঠলেন,
‘থ্রি চিয়ার্স ফর পাণ্ডব গোয়েন্দা। হিপ হিপ হুররে…”
আমি আর্তনাদ করে ওঠার আগেই রাজবাড়ির ছাদ থেকে তারানাথ চেঁচিয়ে উঠলেন, ‘ভৌ ভৌ ভৌ…’