The Author Saikat Mukherjee Follow Current Read মধ্য রাতের ট্রেন By Saikat Mukherjee Bengali Horror Stories Share Facebook Twitter Whatsapp Featured Books ऑफ्टर लव - 27 विवेक अपने ऑफिस में बैठे हुए होता है, तभी टीवी में चल रहे न्... जिंदगी के रंग हजार - 14 आंकड़े और महंगाईअरहर या तूर की दाल 180 रु किलोउडद की दाल 160... गृहलक्ष्मी 1. गृहलक्ष्मी एक बार मुझे दोस्त के बेटे के विवाह के रिसे... बुजुर्गो का आशिष - 11 पटारा मैं अभी तो पूरी एक नोट बुक निकली जिसमे क्रमांनुसार कहा... नफ़रत-ए-इश्क - 5 विराट अपने आंखों को तपस्या की आंखों से हटाकर उसके कांप ते ह... Categories Short Stories Spiritual Stories Fiction Stories Motivational Stories Classic Stories Children Stories Comedy stories Magazine Poems Travel stories Women Focused Drama Love Stories Detective stories Moral Stories Adventure Stories Human Science Philosophy Health Biography Cooking Recipe Letter Horror Stories Film Reviews Mythological Stories Book Reviews Thriller Science-Fiction Business Sports Animals Astrology Science Anything Crime Stories Share মধ্য রাতের ট্রেন (4) 17.3k 42.7k 3 অনিন্দ্য স্টেশনে পৌঁছেই শুনল লাস্ট ট্রেনটা আধ ঘন্টা লেট আছে। একটু চমকে উঠল।এখানে আধ ঘন্টা মানে বাড়ি পৌঁছাতেও আরো ঘন্টা দুই দেরি।একবার ঘড়িটা দেখল। সাড়ে এগারোটা। বাড়ি পৌঁছে সব কিছু করে শুতে শুতেই তো ভোর হয়ে যাবে। দুর! ভালো লাগে না। প্রতিদিন রাত করে ফেরা, আবার ভোর থাকতে বাইরে বেরোন। নেহাৎ এখনো মা বেঁচে আছে না হলে একা মনিষার পক্ষে এত কিছু সামলানো সম্ভব হত না। টি. এল আবার ভিষণ রুড। কিছু বললেই উত্তর দেয়, ‘না পারলে কাজ ছেড়ে দাও। তোমার জায়গায় আরো তিনজনকে নিয়ে নিচ্ছি।’ অনিন্দ্য আর কোন উত্তর দিতে পারে না। এমনিতেই চাকরির বাজার খুব একটা ভালো নয়। ঘরে ও বাইকের স্ট্যাণ্ডে ফোন করে দেরি হবার খবর জানিয়ে এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করবার সময় তিন নম্বর থেকে এক নম্বর প্ল্যাটফর্মের দিকে তাকিয়ে দেখে ওদিকে একটা চায়ের দোকান খোলা আছে।বাকি প্ল্যাটফর্মটা এক্কেবারে ফাঁকা। অবশ্য এরকম অভিজ্ঞতা অনিন্দ্যের এর আগেও বহুবার হয়েছে।অনেকবার এই রকম বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে শেষ ট্রেনে এক্কেবারে একা বাড়ি ফিরেছে। একবার তো ট্রেনের ভিতর ডাকাতের পাল্লাতে পড়েছিল। বড় ব্যাগ দেখে তারা ভাবে ব্যাগে বুঝি অনেক টাকা আছে। কিন্তু ব্যাগ খুলে ওষুধের প্যাকেট দেখে তাদেরও মাথায় হাত পড়ে যায়। একজন তো বলেই ফেলে, ‘আপনার কাছে গ্যাস অম্বলের কোন ওষুধ আছে, আমার সন্ধে থেকে পেটটা ভুট ভুট করছে।’ অনিন্দ্য তাকে ওষুধ দিলেও কাউকে কোনদিন বলতে পারে না ডাকাতে তার কাছ থেকে ওষুধ চেয়ে খেয়েছে। একা থাকলে এই সব কথাগুলো নিজের মনে এনে হেসে ওঠে। মাথাটা খুব ব্যথা করছে।তিন নম্বর থেকে এক নম্বরের চায়ের দোকানের দিকে যাবে এমন সময় একটা ট্রেনের আলো দেখতে পায়।এখন আবার কি ট্রেন আসতে পারে? মালট্রেন! খুব তাড়াতাড়ি অ্যাপটা খুলে চেক করলেও কিছু দেখতে পায় না। একটু অবাক হয়ে যায় অনিন্দ্য। যাই ট্রেন হোক সবগুলোই তার স্টেশনে দাঁড়ায়। অনিন্দ্য ব্যাগটা কাঁধে নিয়ে অপেক্ষা করতে আরম্ভ করে। কিছু সময় পরেই একটা একপ্রেস ট্রেন এসে থামে। অনিন্দ্য দেখে সব স্লিপার কোচগুলোয় প্রায় ফাঁকা। আসলে হাওড়া এখান থেকে খুব একটা দূর নয়, এসময় এই লাইনের ট্রেনগুলো অনেকটাই ফাঁকা হয়ে যায়। অনিন্দ্য একটা কামরাতে উঠে বসে। একটু অবাক হয়ে যায়, এত অন্ধকার কেন? উঠবার সময় তো এতটা অন্ধকার ছিল না। তারপর নিজেই নিজের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দেয়। তাও একটু অদ্ভুত লাগে একজন কেউ বসে থাকবে না। সব সিটেই কেউ না কেউ এক্কেবারে মাথা পর্যন্ত চাদর ঢাকা দিয়ে ঘুমাচ্ছে।‘দুর নিকুচি করেছে ট্রেনের।’এই রকম অবশ্য মাঝে মাঝেই হয়েছে। স্লিপারে এরকম ভাবে শুয়ে বসে থাকে অনেকেই, বসতে একটুকুও জায়গা দেয় না। অবশ্য দেবেই বা কেন, ওরা টাকা দিয়ে সিট রিসার্ভ করেছে, ডেলি প্যাসেঞ্জারকে বসতে দেবে কেন? অনিন্দ্য ট্রেন থেকে নেমে পড়তে গিয়েও থমকে যায়। ট্রেনটা কেমন একটা অদ্ভুত ভাবে সেই মু্হূর্তেই চলতে আরম্ভ করে। খুব মুশকিলে পড়ে অনিন্দ্য। ট্রেনের কামরার ভিতর দিয়ে একের পর এক কামরা পেরিয়ে গেলেও অনিন্দ্যের নিজের খুব অদ্ভুত লাগে, ভয় লাগতে আরম্ভ করে। এটা কি করে সম্ভব হয়? একটা ট্রেনের সব কামরার সব প্যাসেঞ্জার এই রকম একই ভাবে মাথা পর্যন্ত চাদর ঢাকা নিয়ে শুয়ে থাকতে পারে কখনো ? অনিন্দ্যের কিছু সময়ের জন্য একটা ঘোর লাগার পরেই একটা গলার আওয়াজ শুনতে পায়, ‘কোথায় যাবেন?’থমকে দাঁড়ায় অনিন্দ্য। যাক, তাহলে গলার আওয়াজ শোনা গেল। ঘাড় ঘুরিয়ে খুব আস্তে আস্তেই তার নিজের স্টেশনের নামটা জানিয়ে বলে ওঠে,‘এই সামনেই।’-তাহলে বসুন।তারপরেই অনিন্দ্য লক্ষ্য করে একটা লোক মাথা পর্যন্ত চাদড় মুড়ি দেওয়া অবস্থাতেই সিটের ওপর উঠে বসে অনিন্দ্যকে বসবার একটা জায়গা করে দেয়। অনিন্দ্য কোন কথা না বাড়িয়ে সিটটাতে বসে একটা তৃপ্তির শ্বাস ফেলে। ব্যাগ থেকে জলের বোতল বের করে জল পান করতে করতে লক্ষ্য করে উল্টোদিকে লোয়ার আপার, সাইডের আপার লোয়ার সব সিট থেকেই প্যাসেঞ্জারগুলো ঠিক একভাবে মাথা পর্যন্ত চাদর মুড়ি দিয়েই উঠে বসে পড়েছে।অনিন্দ্যের গলায় জল আটকে যায়।এটাকি চোখের ভুল! না কেমন যেন মনে হয় সিটে বসে থাকা অবস্থায় সবাই তারদিকে তাকিয়ে আছে, তার প্রতিটা আচরণ দেখছে, গতিবিধি বোঝার চেষ্টা করে নিজেদের সাথে মেলানোর চেষ্টা করছে। অনিন্দ্য আবার বোতল বের করে জল পান করতে গিয়ে থমকে যায়। একি হল, একটু আগেই প্ল্যাটফর্মের কলে এক বোতল জল ভরল। নিজে মাত্র একবার বোতলটা থেকে জল পান করল, তারপর মুখটাও ভালো করেই লাগিয়ে ছিল। জলটা পড়ে গেল। ব্যাগের ভিতর হাত ভরে ওষুধের স্ট্রিপগুলো ভিজে গেছে কিনা বোঝার চেষ্টা করল। না ব্যাগের ভিতরে তো জল পড়ে নি। এক্কেবারে খটখটে। চোখ ঘুরিয়ে একবার চারদিকটা দেখে নেবার চেষ্টা করল, হ্যাঁ। সবাই এক ভাবেই তারদিকেই তাকিয়ে বসে আছে। পকেট থেকে মোবাইলটা বের করবার জন্য বাঁ’পকেটে হাত ভরেও হাতটা টেনে নিল। মনে হল পকেটের ভিতরে কেউ যেন হাতটা ধরে রাখছে। মোবাইলটা নিতে হলে সেই হাতটা টপকে যেতে হবে। ভয়ে অনিন্দ্যের গলা শুকিয়ে যেতে আরম্ভ করলেও এক ফোঁটা জল নেই। সব কিরকম বেহিসাবী হয়ে উঠছে। এমনিতে অনিন্দ্য ভূত বা ঈশ্বর কাউকেই বিশ্বাস করে না। কিন্তু এগুলো কি হতে পারে। কিছু একটা হয়েছে, অতো ভেবে কাজ নেই। তবে আর যাই হোক এটা কোন অতিপ্রাকৃতিক ঘটনা নয়।’এদিকে ট্রেনটাও পাগলের মত ছুটে চলেছে। বেশ কয়েকবার ডান ও বাঁদিকে চোখ রেখে স্টেশনের নাম পড়বার চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোথায় স্টেশন কোথায় প্ল্যাটফর্ম, চারদিকে শুধু ঘুটঘুটে অন্ধকার, আর তাকে কাটিয়ে এগিয়ে চলেছে এই ট্রেন। মরুক গে যাক। অনিন্দ্য চোখ দুটো বন্ধ করে মাথাটা পিছন দিকে হেলিয়ে বসতেই মনে হল নিচের থেকে পা’দুটো কেউ যেন টেনে ধরেছে। পা কে টেনে ধরবে? ইঁদুর! ইঁদুর থাকলে পায়ে উঠতে পারে কিন্তু টেনে তো ধরতে পারে না। তাহলে মনের ভুল। অনেক রাস্তা হাঁটাহাটি হয়েছে। নাসিংহোমটাতেও একতলা থেকে চারতলা বহুবার করতে হয়েছে। সেখানে পেশিতে কিছু হতে পারে। সেটাকেই হয়ত টান মনে হচ্ছে। এইভাবে নিজেকে বুঝিয়ে অনিন্দ্য আবার চোখদুটো বন্ধ করে আগের মতই বসে থাকল। কিছু সময়ের মধ্যেই আবার আগের মত মনে হল কেউ নিচের থেকে পা’দুটো টেনে রাখছে। অনিন্দ্য আর বসে থাকতে না পেরে সিটের থেকে উঠে নিচে তাকিয়ে দেখতে যাবে এমন সময় পাশে সেই মাথা অবধি ঢাকা নিয়ে বসে থাকা লোকটি বলে উঠল, ‘ও কিছু নয় আপনার পা’দুটোকে দেখে ওরা অবাক হয়ে একটু দেখছিল।’–ওরা মানে কারা? ওদের পা নেই?-ওদের আবার পা থাকে নাকি?-কেন ওরা কি কোন…...!!!-বেশি কথা বলব না, এক্ষুণি আগের স্টেশনে এই তোমার মতই একজন কথাগুলো শুনে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গেল।অনিন্দ্যের হাত পা কি রকম যেন অবশ হয়ে যেতে লাগল, গলা শুকিয়ে আসছে। তাও জিজ্ঞেস করল,‘পড়ে গেল তারপর…?.’-তারপর আবার কি যা হয়, মারা গেল।ঐ জন্যেই তো লাস্ট লোকালটার আসতে দেরি হল আর আপনি এটাতে উঠলেন। অনিন্দ্যের সব কিছু কেমন যেন সবকিছু গোলমাল হয়ে যেতে আরম্ভ করল।এই লোকটা বলে কি, লাস্ট ট্রেনের জন্যে অপেক্ষা করছিল সে’কথাটা কিভাবে জানল? আর এভাবে বলার কি মানে? ভালো লাগছে না। শ্বাস প্রশ্বাস নিতে অসুবিধা হচ্ছে। ঘাম বেরোচ্ছিল, শরীরে কেমন একটা অসুবিধা হচ্ছিল।এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখল সব জানলা এক্কেবারে বন্ধ।এরা কি সব পাগল,এই ট্রেনটা কি পাগলদের বয়ে আনছে। এই অবস্থায় সবাই মাথা থেকে পা পর্যন্ত এই রকম একটা করে বড় বড় ঢাকা চাপিয়ে শুয়ে বা বসে আছে। একবার জোরে শ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করে বলল,‘জানলাটা খুলে দিন, গরম লাগছে তো।’আগের ভদ্রলোকটিও একথাটাই বলছিল। আমি জানলা খুলছি না দেখে নিজেই জানলা খুলতে গেলেন।বললাম আমরা কেউ হাওয়া সহ্য করতে পারিনা, শুনলেন না। নিজেই জোর করে ডানদিকের জানলাটা খুলতে গেলেন। ব্যাস তারপরেই হাওয়াতেই বাঁ’দিকে পড়ে গেলেন।এবার অনিন্দ্য রেগে উঠল। ‘কি বাজে কথা বলতে আরম্ভ করেছেন, হাওয়াতে একটা মানুষ কি কখনও ট্রেনের ভিতরে পড়ে যায়। মানুষ কি হাওয়া নাকি, যে উড়ে যাবে?’কি রকম বিচ্ছিরি একটা আওয়াজ করে ভদ্রলোক হেসে উঠলেন।সে হাসি যেন থামেই না।একে একে পুরো কামরাতে এত ক্ষণ যারা শুয়েছিল তারাও উঠে বসে হাসতে আরম্ভ করল। সে এক বীভৎস হাসি, কিছুতেই যেন সে হাসি থামে না।অনিন্দ্যের কানদুটো ফেটে যায়। দু’হাতে দুটো কান বন্ধ করে চিৎকার করে, ‘চুপ!’ ব্যাস পুরো কামরা আবার চুপচাপ হয়ে যায়। অনিন্দ্য হাঁপাতে থাকে। পুরো কামরাতে তার নিঃশ্বাস পড়বার আওয়াজ শোনা যায়। মনে হয় যেন সবাই এক সাথে শ্বাস নিচ্ছে। এ যেন শ্বাস নেওয়ার প্রতিযোগিতা হচ্ছে। অনিন্দ্য রেগে ওঠে। লোকটির দিকে তাকিয়ে বলে, ‘আপনি কি আমার সাথে মজা মারছেন? কি মনে হচ্ছে আমি বাচ্চা ছেলে, যা বলবেন তাই বিশ্বাস করব? শুনুন আমিও কথা বিক্রি করে খাই। বড় বড় ডাক্তাররা আমার কথাতেই কনভেন্স হয়েই কম্পানিকে চালাচ্ছে।আমার প্রমোসন, ইনসেনটিভ, সব এই কথা বিক্রি করেই।আর আপনি কোথাকার এক ক্ষ্যাপা আমাকে বলছেন কিনা জানলা দিয়ে একটা আস্ত মানুষ উড়ে চলে গেল। ওসব বাজে বকা ছাড়ুন। ’পাশে বসা ভদ্রলোক কিন্তু কোন রকম রেগে গেলেন না। খুব শান্ত ভাবেই বললেন, ‘আপনি বিশ্বাস করছেন না তো, বেশ আমি তাহলে ঐ ভদ্রলোকটিকে ডাকছি, আপনি নিজের কানেই সব শুনে নিন, নিজের চোখে সব কিছু দেখতেও পারেন।’–এই তো বললেন উনি পড়ে গেছেন, মারা গেছেন।-সে জন্যেই তো ওনাকে ডাকা যাবে।এই ট্রেনে যারা আছেন তারা সবাই কোথাও না কোথাও পড়ে গেছেন, বা মরে গেছেন। আমরা শুধু ট্রেনটা নিয়ে যাচ্ছি।এবার অনিন্দ্যের মাথা ঘুরতে আরম্ভ করল।শরীরে ঘাম বেরোতে আরম্ভ করল।ইনি কি মজা করছেন? হঠাৎ ভদ্রলোক বলে উঠলেন,‘নতুনটা কোথায় গেছে রে, একবার এদিকে পাঠিয়ে দে তো।’কথাটা শেষ হবার সঙ্গে সঙ্গে অনিন্দ্যের চোখের সামনে একজন সেই আগের মত সারাটা শরীরে চাদর মুড়ি দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ল। কিছু জিজ্ঞেস করবার আগেই নিজের থেকেই বলে উঠল,‘এই যে আমি এখানে।’হঠাৎ কামরার সব আলো জ্বলে উঠল।অনিন্দ্য দেখল তার সামনেই একটা বীভৎস মূর্তি দাঁড়িয়ে আছে।মাথার একদিকটা থেঁতলে গেছে, শরীরের এদিক ওদিক থেকে রক্ত বেরোচ্ছে। একটা হাত নেই, আরেকটা থেকেও মাংস বেরোচ্ছে।অনিন্দ্য আর বসে থাকতে পারল না। সিট থেকে উঠে দরজার দিকে ছুটতে লাগল। কিন্তু কি অদ্ভুত সব সিটের উপর এতক্ষণ যারা বসে ছিল তারা সব উঠে বসে পড়েছে।বিভৎস দৃশ্য, কারো মাথা নেই, কারোর হাত নেই কারোর পা নেই। কারোর আবার দুটো চোখ বাইরে বেরিয়ে এসেছে। অনিন্দ্য আর সহ্য করতে পারল না। ওখানেই চিৎকার করে পড়ে গেল।জ্ঞান হবার পর দেখল একটা স্টেশনের বেঞ্চের উপর শুয়ে আছে সে। তাকে ঘিরে কয়েকজন লোক দাঁড়িয়ে আছেন। চোখ খোলা দেখে একজন বলে উঠল, ‘এখন কেমন লাগছে?’অনিন্দ্য ঘাড় নাড়িয়ে ভালো জানাতেই একজন গরম চা এনে দিল। উঠে বসে চা পান করে শরীরে একটু বল পেল।ততক্ষণে রেলপুলিশও এসে গেছে।একজন কনস্টেবল জানালেন বাড়িতে খবর দেওয়া হয়েছে।অনিন্দ্য নিজেও বাড়িতে ফোন করে কথা বললেন।ঐ কনস্টেবলই জানালেন তাঁকে রেল লাইনের পাশ থেকে কয়েকজন অজ্ঞান অবস্থায় তুলে এনে এখানে শুইয়েছে। অনিন্দ্যের কানে অর্ধেক কথা ঢুকল, অর্ধেক ঢুকল না। আরেকজন কনস্টেবল জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনি ওখানে এলেন কিভাবে?’অনিন্দ্য একথাটা কিছুতেই মনে করতে পারল না। শুধু কানের কাছে আবার একটা ট্রেনের শব্দ পেল।(সমাপ্ত). Download Our App