The House of Devil Sprite - 4 in Bengali Horror Stories by Debojyoti Banerjee books and stories PDF | দ্যা হাউস অফ ডেভিল স্পিরিট - 4

Featured Books
  • चाळीतले दिवस - भाग 6

    चाळीतले दिवस भाग 6   पुण्यात शिकायला येण्यापूर्वी गावाकडून म...

  • रहस्य - 2

    सकाळ होताच हरी त्याच्या सासू च्या घरी निघून गेला सोनू कडे, न...

  • नियती - भाग 27

    भाग 27️मोहित म्हणाला..."पण मालक....."त्याला बोलण्याच्या अगोद...

  • बॅडकमांड

    बॅड कमाण्ड

    कमांड-डॉसमध्ये काम करताना गोपूची नजर फिरून फिरून...

  • मुक्त व्हायचंय मला - भाग ११

    मुक्त व्हायचंय मला भाग ११वामागील भागावरून पुढे…मालतीचं बोलणं...

Categories
Share

দ্যা হাউস অফ ডেভিল স্পিরিট - 4

বিশ্রাম নিতে নিতে কখন যে অভিরুপের চোখে ঘুম এসে গিয়েছিল অভিরূপের মনে নেই | প্রায় রাত ন টার সময় অভিরূপের যখন ঘুম ভাঙলো | অভিরূপ বাইরের আকাশের দিকে তাকালো আকাশে বেশ কালো মেঘ জমাট বেঁধেছে | মনে হচ্ছে এক্ষুনি যেন বৃষ্টি হবে | অভিরূপ ঘরের সমস্ত জানলা বন্ধ দিল | রাত্রিরের খাবার খেয়ে অভিরূপ ল্যাপটপ চালিয়ে লেখালেখি শুরু করল | লিখতে লিখতে প্রায় অনেকটাই রাত হয়ে গেল | বাইরে তখন ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়েছে | লেখার কিছুটা অংশ স্যাম্পল হিসাবে অতিশ হাজরা কে ইমেইল করে পাঠিয়ে দিল | তারপর ল্যাপটপ বন্ধ করে অভিরূপ শুয়ে পড়ল |

পরের দিন সকালবেলায় নিউজ চ্যানেলে অতিশ হাজারার রহস্য মৃত্যুর খবর শুনে অভিরুপের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ল | অভিরূপ নিজের কান ও চোখকে যেন কিছুতেই বিশ্বাসই করতে পারল না । পুলিশ এই মৃত্যুটাকে খুনের রূপ দিয়েছে | কিন্তু পুলিশের কাছে পর্যাপ্ত পরিমানে কোনো প্রমান না থাকায় পুলিশ কেস টাকে ক্লোজ করে দিয়ছে | খবরটা শুনে অভিরূপের মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল |
অভিরূপ মনে মনে বললো , এই তো কাল দুপুরেই আমার সাথে কথা হল আর রাত্রিবেলায় এরকম ঘটনা ঘটলো |

এইসব কথাই ভাবছিল এমন সময় গেস্ট হাউসের কলিং বেল টা বেজে উঠলো | অভিরূপ গিয়ে দরজাটা খুলল | দরজার ওপাশে একজন বছর ৩৫ এর মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে |

অভিরূপ মেয়েটা কে জিজ্ঞাসা করল , আপনাকে তো ঠিক চিনতে পারলাম না ? কে আপনি ?

মেয়েটা বলল , আমার নাম মায়া। আমাকে অতীশ বাবু পাঠিয়েছেন আপনার খেয়াল রাখার জন্য | যাতে আপনার কোনো অসুবিধা না হয় | আমি ওনার অফিসেই কাজ করি |

অভিরূপ বলল , আপনাকে তো আগে কখনো দেখিনি |

মেয়েটা বলল , আমি কালকেই জয়েন করেছি |

আমি বললাম , ও ........... ভেতরে আসুন |

অতিশ হাজরার ব্যবহারে অভিরূপ বেশ খুশি হলো | কিন্তু

তারপর অভিরূপ মনে মনে বলল , উনি যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে ওনাকে ধন্যবাদ জানাতাম | অভিরূপের মনটা আবার খারাপ হয়ে গেল | সারাদিন এই ভাবেই চলল | দুপুরের খাওয়া সেরে অনুরূপ একটু বিশ্রাম নিল।

ঘুম ভাঙলো মায়ার কণ্ঠস্বরে |

মায়া বলল , স্যার বিকেল হয়ে গেছে | তারপর
মায়া জিজ্ঞাসা করল , আপনি চা খাবেন ?

অভিরূপ বলল , হ্যাঁ ।

খানিকক্ষণ পর মায়া গরম গরম চা নিয়ে এলো | চা খেয়ে অভিরূপ একটু বাইরে বেরোলো | বাইরে যাবার সময় সে মায়াকে বলে গেল আমি বাইরে যাচ্ছি ফিরতে একটু রাত হবে |

রাস্তায় যেতে যেতে হঠাৎ একটা লোকের সাথে ধাক্কা লাগল অভিরূপের | লোকটা অভিরূপকে একবার দেখেই চিনে ফেলল |

লোকটা বললো , আপনি তো বিখ্যাত লেখক অনুরূপ হালদার ? তাইতো .....?

অভিরূপ হাসিমুখে বলল , হ্যাঁ, আমি অভিরূপ হালদার |

লোকটা বলল , আমার নাম নীতিন ঘোষ | আমি এখানেই থাকি | আমি আপনার সমস্ত গল্প পড়েছি, আপনার গল্প আমার খুব ভালো লাগে।

অভিরূপ বলল , ধন্যবাদ | আমাকে এতটা ভালোবাসা দেবার জন্য |

নিতিন জিজ্ঞাসা করল , তা আপনি এখানে ?

অভিরূপ বলল , গল্প লেখার জন্য একটা নিরিবিলি ও শান্ত জায়গা খুঁজেছিলাম | এখানকার খবর পেলাম তাই এখানে চলে এলাম।

নিতিন জিজ্ঞাসা করল , আপনি এখানে কোথায় আছেন ?

অভিরূপ বলল , এই শহরের বাইরে যে গেস্ট হাউস আছে আমি ওখানেই থাকি ।

গেস্ট হাউসের কথা শুনতেই নিতিন ঘামতে শুরু করল | কেমন যেন একটা অজানা ভয়ে ওর মুখটা শুকিয়ে গেল |