কাঠএকদিন ছিলাম নামগোত্রহীন তোমার মনেসবুজের আভা ছিল, ছিল ঈষৎ বল্কল, একটুকরোজীবনের অনুভূতি। পূর্বরাগের বোধহয় পূর্বাভাসপ্রাণের প্রতিশ্রুতি অবছন্ন ছিল অনন্কুরিতবীজের গর্ভে। আর দিকে ছিল রক্ত জমাট,বিষাক্ত আস্বাদন, প্রেমের প্রথম বহিঃপ্রকাশ।শিরা থেকে ধমনীতে চোরাস্রোতে বহমানআদিম রিপু। অনাথ শিশুর শিরঃচ্ছেদেরআয়োজনে প্রেমিকার স্তনে মাতৃদুগ্ধপান।নিস্তব্ধ মধ্যরাতে শুকতারার পাশে কোনোঅজানা নক্ষত্রপাত। বলিষ্ঠ এক নটিনিররুদ্ধশ্বাস কুশলতায় হাজার হাতের করতালিশুনে পল্লবিত তরুশাখায় তরতাজা উন্মাদনা-শুধু চোরাবালিতে নিমজ্জিত হবার আগে,ভ্রষ্ট সমাজের জ্বলন্ত চিতায় আমারনামে রেখো একটুকরো কাঠ।।চিতার কাঠআমার জন্য দুটুকরো কাঠ রেখো শমীনিজেকে শুদ্ধ করি কাঁচা আগুনে জ্বলেনিষ্কলুষ বীর্য যেটুকু সুপ্ত শরীরের গোপন রক্তেতার সবটুকু যেন অঙ্কুরিত হয় নিষ্কর্ষিত জমিতেকঠিন শীতের ছোঁয়া আর উষ্ণ বাতাস পেয়েছি সারা জীবনপায়ের নীচে পাই